/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/08/cyber-crime.jpg)
Cyber Crime: প্রতীকী ছবি।
Bidhannagar Commissionerate returns money to those cheated due to cyber crime: গত কয়েক মাসে সাইবার ক্রাইম নিয়ে ভুরি-ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম বিভাগে। তারই মধ্যে বেশ কিছু অভিযোগের নিষ্পত্তিও করেছে পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠকে সে ব্যাপারেই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করল বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেট। সেই সঙ্গে ফের একবার এব্যাপারে নাগরিকদের সচেতনও করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
সাংবাদিক বৈঠকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতারিত ৩০ জনকে প্রায় ২ কোটি ৫ লক্ষ ২২ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। টাকা ফেরত পেয়েছেন প্রতারিত মানিকচন্দ্র রায়, সুভাষচন্দ্র সরকার, অভয় কুমার জৈনরা। বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার এই বাসিন্দারা যথাক্রমে ৩২ লক্ষ ৮২ হাজার, ৬ লক্ষ ৪৮ হাজার, ৩ লক্ষ ১১ হাজার ১৩৪ টাকার চেক পেয়েছেন।
বিধানননগর কমিশনারেটের এক পুলিশকর্তা বলেন, "বয়স্ক লোকেরা বুঝতে পারছে না। নতুন প্রজন্ম কিছুটা বোঝে। তবে বয়স্করা অনেকেই ফোনে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারছেন না। বয়স্করা জবাব দিচ্ছে।
যত ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে ততই এটা বাড়ছে। মার্চ মাসে ইনভেস্টমেন্টের হিড়ি বেড়েছে। আমরা মেইন গ্যাংটা ধরার চেষ্টা করছি। ১০০ জিডি তো আছে। যত তাড়াতাড়ি অভিযোগ করবে তত ভালো। দেরি হলে অসুবিধা হবে।"
ওই পুলিশকর্তা আরও বলেন, "রিকভারি প্রসেসকে গুরুত্ব দিয়েছে। ২ কোটি টাকার উপরে ফিরিয়ে দিচ্ছি। সাইবার প্রতারকরা ব্যাংকের স্টেটমেন্ট অ্যানালাইসিস করে। গত ৪-৫ মাসে ৭০-৮০ জন সাইবার ক্রিমিনালদের ধরেছি। এনসিআরপি-তে অভিযোগ করে থানায় চলে আসুন।"
সাইবার প্রতারণার শিকার ডা. সচ্চিদানন্দ প্রসাদ সিনহা। তাঁর কথায়, "রুট ক্যানেলের প্রধান অ্যান্ডোমটর যন্ত্র গুরগাঁওয়ে পাঠাই। ১০ মিনিট লাইন ধরে রাখি। ওরা অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে। প্রায় ৩ লক্ষ টাকা তুলে নেয়।" অন্যদিকে আর এক প্রতারিত বাগুইআটির হিমানিষ চৌধুরী বলেন, "আইআরসিটিসি থেকে ব্যাঙ্গালোরের টিকিট কাটি। টিকিট বাতিল করতে হেল্প নম্বরে ফোন করি। ওরা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতে বলে। পাশবুকের কথাও জিজ্ঞাসা করে। ওদের কথায় আমার ব্রেনওয়াশ হয়ে যায়। ডেবিট কার্ডের ছবি পাঠাতেও বলে। আমি ওই তথ্য দিতেই হাজার-হাজার টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হতে থাকে। নিমেষে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ উধাও হয়ে যায়। পরে ব্যাঙ্কে গিয়ে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ফেরত পাই। পরে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করি।"