/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/15/police-2025-10-15-11-26-22.jpg)
police harassment: পুলিশি জুলুমবাজির অভিযোগ জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাক মালিক অ্যাসোসিয়েশন।
Birbhum News:জোর করে ট্রাক মালিকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে ট্রাক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অইভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ।
বীরভূমের সিউড়িতে ট্রাক মালিকদের অ্যাসোসিয়েশনের তরফে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছিল। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে মহম্মদবাজার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তোলেন তারা। তাঁদের দাবি, জোর করে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে টাকা আদায় করছে পুলিশ। নিজেদের অভিযোগের সাপেক্ষে একটি ভিডিও ফুটেজ পর্যন্ত প্রকাশ করে তারা।
সেই ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে পুলিশ আধিকারিক টাকা গুনছেন। ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রথমে একটি বা দুটি লরিকে আটকাচ্ছে পুলিশ। তারপর কেস দেওয়া হচ্ছে। কোর্টের অর্ডারে গাড়ি রিলিজ হয়ে যাওয়ার পরেও জোর করে দুটি গাড়িতে ৭০ হাজার টাকা করে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে এক ট্রাক মালিকের কাছ থেকে। সেই ভিডিও এবং অডিও ক্লিপিং সাংবাদিকদের তুলে দেন ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয় শীঘ্রই পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককেও এই বিষয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হবে। তাতেও কাজ না হলে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন ট্রাক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
ট্রাক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনাস আহমেদ বলেন, “২৩ সেপ্টেম্বর ট্রাক মালিক এমদাদুল হোসেনের দুটি গাড়ি তালবাঁধ থেকে মল্লারপুরের মোদিয়ান বালি বোঝাই করে যাচ্ছিল। রাস্তায় মহম্মদবাজার থানার পুলিশ দুটি গাড়ি ধরে কোর্টে পাঠায়। এমদাদুল কোর্ট থেকে গাড়ি দুটির রিলিজ অর্ডার করে থানায় যায়। কিন্তু তারপরও পুলিশ গাড়ি দুটি ছাড়েনি। তারা দুটি গাড়ির জন্য ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। এমনকী ফোনেও টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। তার সমস্ত রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। এরপর আমরা এমদাদুলকে টাকা দেওয়ার পরামর্শ দিই।"
তিনি আরও বলেন, "টাকা দেওয়ার ছবি আমরা মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে রাখি। পুলিশের চাপে ট্রাক মালিকরা নিঃস্ব হচ্ছেন।“ ট্রাক মালিকদের অ্যাসোসিয়েশনের আরও অভিযোগ, পুলিশের কিছু অফিসার গাড়ি কিনে তারা নিজেরাই ব্যবসা করছেন। ফলে যারা মোটা টাকা লাগিয়ে লরি ব্যবসা করছেন তাদের উপর অত্যাচার করছে। তাদের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। তাতেও কাজ না হলে তারা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
এই বিষয়টি নিয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, "আমি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"