SSC Verdict News: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে এ রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা অশিক্ষক কর্মচারী চাকরি বাতিল হয়েছে কত বৃহস্পতিবার। শহর থেকে শুরু করে জেলা, চাকরি হারানোর যন্ত্রণা কুড়ে-কুড়ে খাচ্ছে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। অন্যের দুর্নীতির চরম মাশুল গুণতে হল তাঁদের, বারবার এ কথা বলেই যেন কপাল চাপড়াচ্ছেন 'যোগ্য' চাকরিপ্রাপকরা। এবার 'যোগ্য' অথচ চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে বড় বার্তা দিলেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা BJP সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। যোগ্যদের মুখে হাসি ফোটাতে কী করণীয় সেব্যাপারে রাজ্য সরকারকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পরামর্শও দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরি গেছে। কলকাতা হাইকোর্টই প্রথম ২০১৬ সালের SSC-র গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছিল। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন চাকরিহারারা। তবে শীর্ষ আদালতও জানিয়ে দিয়েছে তাঁরাও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখছে। সুতরাং চাকরি হারিয়েছেন এ রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার ছেলে-মেয়ে।
কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি তথা বর্তমানে বিজেপির সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম এই নজিরবিহীন নির্দেশটি দিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের একই নির্দেশের পর এবার রাজ্যের চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ালেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই। এই মর্মে রাজ্য সরকারকে বড় বার্তা দিয়েছেন তিনি। কীভাবে 'যোগ্য' অথচ চাকরিহারাদের মুখে হাসি ফুটতে পারে সে ব্যাপারেও প্রাক্তন বিচারপতি তাঁর পরিকল্পনার কথা স্পষ্ট করেছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:সল্টলেক সেক্টর ফাইভে সাংঘাতিক দুর্ঘটনা! মহিলার মর্মান্তিক মৃত্যু, শোকের ছায়া তথ্যপ্রযুক্তি নগরীতে
চাকরিহারাদের মুখে হাসি ফোটাতে রাজ্যকে কী পরামর্শ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ?
"এই মুহূর্তেই যেন দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) একটি কমিটি গঠন করেন। আমি যতদূর জানি বা বুঝেছি, যারা জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছে এবং যারা ভালো করে পড়াশোনা করে সৎভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছে তাদেরকে আলাদা করা আজও সম্ভব। আমি কাউকে দোষারোপের প্রশ্ন যাব না। এই যে ছেলেমেয়েগুলোর উপর আজ বিপর্যয় নেমে এসেছে এখান থেকে ওদের উদ্ধার করতেই হবে।"
আরও পড়ুন- Birbhum News: বীভৎস ঘটনা মুরারইয়ে, যুবকের এমন পরিণতি কল্পনাও করতে পারেননি লোকজন
প্রাক্তন বিচারপতি তথা সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, "আমি বলব একটা কমিটি গঠন করুন। যার মাথায় চেয়ারম্যান হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী থাকতে পারেন, যেখানে অ্যাডভোকেট জেনারেল থাকতে পারেন, যেখানে বিকাশ ভট্টাচার্য থাকতে পারেন, যেখানে আমিও থাকতে পারি। আর যারা মূল মামলাগুলি করেছিলেন সেই সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ,বিক্রম ব্যানার্জি, ফৌরদৌস শামিমরাও থাকতে পারেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও তাঁদের আইনজীবীরাও থাকতে পারেন। আলোচনা করে যদি আমরা একটা তালিকা তৈরি করতে পারি যে যারা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছে...আমি কাউকে আজ দোষ দিচ্ছি না। এই ২৬ হাজার ছেলেমেয়েকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এটা করলে আমরা একটা তালিকা তৈরি করে ফেলব বলে আমি আজও মনে করি।"
আরও পড়ুন- Bengal GI Tag: বাংলার মুকুটে অনন্য গর্বের নতুন পালক! আরও ৭ পণ্যের GI স্বীকৃতি