/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/28/congress-2025-08-28-18-50-38.jpg)
Thakurbari-Congress: ঠাকুরবাড়িতে কংগ্রেস নেত্রী ইন্দ্রাণী দত্ত চ্যাটার্জি।
Thakurbari politics:শুক্রবার ঠাকুরবাড়ির মন্দিরে প্রার্থনা শেষে জেলা কংগ্রেস নেত্রী ইন্দ্রানী দত্ত চ্যাটার্জি অভিযোগ করেন, তিনি যখন ক্যাম্পে আসছিলেন এবং সাধারণ মতুয়াদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন হঠাৎ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সুব্রত ঠাকুর। তিনি তাকে তত্ক্ষণাৎ চলে যেতে বলেন। ইন্দ্রানী দাবি করেন, “মন্দির যেন রাজনীতি-মুক্ত থাকে” — এই বার্তা দিতে গিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু সুব্রত ঠাকুর তাঁকে এমনভাবে বের করে দিয়েছেন যা নিন্দনীয়।
বৃহস্পতিবার ঠাকুরবাড়িতে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী ইন্দ্রাণী দত্ত চ্যাটার্জি। তিনি বলেন, "এখানে কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না। এখানে অনেকের অনেক অভিযোগ আছে। আমরা একটাই বার্তা দিতে চাই, এই মন্দির রাজনীতিমুক্ত থাকুক। কংগ্রেস ও বামেরা এই রাজ্যে বেশ কিছু বছর ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু কখনও তারা এই হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দির নিয়ে রাজনীতি করেনি। কিন্তু নাগরিকতার প্রশ্নে এখানে বিজেপি-তৃণমূল রাজনীতি করে চলেছে।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা বলতে চাই মন্দির প্রাঙ্গণ রাজনীতি থাকুক। এটাই কংগ্রেসের দাবি। আমি পুজো দিতে এসেছিলাম। দূর দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া...!!! তবু কারও প্রতি আক্রোশ নেই। বারবার ভোটের আগে মতুয়াদের খুঁচিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখানে বিভ্রান্তি করছে কেন্দ্র থেকে। মতুয়া ভাইবোনদের সার্বিক উন্নয়ন কিছু হচ্ছে না।"
আরও পড়ুন-weekend getaway:এখানেই প্রাণের স্বস্তি, মনের আরাম! নিরিবিলি এই তল্লাট কলকাতার কাছেই
অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের আইটি সেলের সদস্য ও ধর্ম প্রচারক রাজদীপ রায় বলেন, “যদি কেউ মন্দিরে পুজো দিতে আসেন, তাঁকে স্বাগতম। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এলে বিপরীত ফল দাঁড়াতে পারে। চাইলে ধর্মীয় সার্টিফিকেটের নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা যেত।”
অন্যদিকে, মমতাবালা ঠাকুর এদিন বলেন, “মন্দিরে পুজো দিতে এলে সবাইকে স্বাগত, কিন্তু রাজনীতি করতে এলে আমরা তা বরদাস্ত করব না। রাজনীতি ... আগে ছিল, আছে এবং থাকবে; তবে ঠাকুরবাড়ি যেন তা মুক্ত থাকে।”