/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/13/cats-2025-08-13-15-59-51.jpg)
'নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় সনিয়া গান্ধীর নাম?
sonia gandhi:'নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় সনিয়া গান্ধীর নাম? রাহুলের 'পরমাণু বোমা'র পালটা 'মিসাইল' ছুঁড়ল বিজেপি।
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে বলেছে যে, ১৯৮০ সালে ভোটার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। যদিও তিনি তখন ভারতের নাগরিক ছিলেন না।
স্বাধীনতা দিবসের মুখে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে জঙ্গি হামলার হুমকি, হুলস্থূল ফেলা কান্ডে তুমুল আতঙ্ক
বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেছেন, ১৯৪৬ সালে ইতালিতে জন্ম নেওয়া সনিয়া গান্ধী ১৯৮৩ সালে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার আগে তাঁর নাম ভোটার তালিকায় ছিল। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগটি এমন এক সময়ে বিজেপি সামনে এনেছে যখন কংগ্রেস বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটার কার্ডে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছে। বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের অভিযোগ, ১৯৮০ সালে সনিয়া গান্ধীর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়, অথচ তিনি ১৯৮৩ সালে ভারতীয় নাগরিকত্ব পান। এই দাবি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বিরোধী দলগুলি যখন SIR বাতিলের দাবিতে একজোট হয়েছে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে কমিশনের সঙ্গে যোগসাজশে ভোটার কার্ড জালিয়াতির অভিযোগ সামনে এনেছে ঠিক তখনই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর তুলে পালটা আক্রমণের পথে নেমেছে বিজেপি।
বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেছেন যে ১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে, যখন সনিয়া গান্ধীর ভারতীয় নাগরিকত্ব ছিল না, সেই সময় তার নাম ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত ছিল। পাশাপাশি বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ১৯৮০ সালের ভোটার তালিকার একটি অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন এবং এটিকে একটি গুরুতর নির্বাচনী অসদাচরণ বলে অভিহিত করেছেন।
শুধুমাত্র ভারতবর্ষ নয়,বিশ্বের এই দেশগুলিও স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল ১৫ অগাস্টেই!
বিজেপির অভিযোগ সনিয়া গান্ধী ১৯৪৬ সালে ইতালিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ১৯৬৮ সালে রাজীব গান্ধীকে বিয়ে করেছিলেন। মালব্য দাবি করেছেন যে ১৯৮০ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে নয়াদিল্লি সংসদীয় আসনের ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় তার নাম যুক্ত করা হয়েছিল। এই পদক্ষেপ আইনি লঙ্ঘন কারণ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য ভারতীয় নাগরিকত্ব বাধ্যতামূলক।
Sonia Gandhi’s tryst with India’s voters’ list is riddled with glaring violations of electoral law. This perhaps explains Rahul Gandhi’s fondness for regularising ineligible and illegal voters, and his opposition to the Special Intensive Revision (SIR).
— Amit Malviya (@amitmalviya) August 13, 2025
Her name first appeared… pic.twitter.com/upl1LM8Xhl
ব্যাপক প্রতিবাদের পর, ১৯৮২ সালে তার নাম তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মালব্য আরও বলেছেন যে ১৯৮৩ সালে নাগরিকত্ব পাওয়ার পরেও, শেষ তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার পরে তার নাম তালিকায় যুক্ত করা হয়েছিল, যেটিও ছিল নিয়ম বিরুদ্ধ।তবে, কংগ্রেসের তরফে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানানাও হয়েছে বিজেপি ৪৫ বছরের পুরনো একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে আজকের নির্বাচনী বিষয়গুলি থেকে মনোযোগ ঘোরানোর চেষ্টা করছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বিশেষ করে কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং এখন বিহারে, বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশন একসাথে ভোটার তালিকা কারচুপি করেছে।কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিরোধী ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এই সম্পর্কিত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তবে, নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তাদের প্রক্রিয়াগুলিকে স্বচ্ছ এবং ন্যায্য বলে বর্ণনা করেছে। কমিশন রাহুল গান্ধীকে একটি হলফনামায় তার দাবি রেকর্ড করতে এবং প্রমাণ উপস্থাপন করতে বলেছে।
এই জেলাগুলিতে, স্বাধীনতা দিবস ১৫ই আগস্ট নয়, দুই দিন পরে পালিত হয়, কেন জানেন?
নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের আবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ এনেছে। এদিকে, অমিত শাহ বলেছেন যে বিহার নির্বাচনের আগে কংগ্রেস পরাজয়ের অজুহাত খুঁজছে। অন্যদিকে, অনুরাগ ঠাকুর রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা এবং ভুল পরিসংখ্যান উপস্থাপনের অভিযোগ করেছেন।