New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/18/aUjqrjAg7hhvMuSm4cSQ.jpg)
Purba Bardhaman News: ছবির বাঁদিকে বাজেয়াপ্ত হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র, ডানদিকে সাদা জমা পরিহিত ধৃত নেতা।
Purba Bardhaman News: এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এই জেলার রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ধৃতকে দফায়-দফায় জেরা তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের। বিরাট চক্রান্তেরও আশঙ্কা করছেন অনেকে।
Purba Bardhaman News: ছবির বাঁদিকে বাজেয়াপ্ত হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র, ডানদিকে সাদা জমা পরিহিত ধৃত নেতা।
BJP leader arrested with firearms, cartridges from East Burdwan: বিহারের মুঙ্গের থেকে আগ্নেআস্ত্র আমদানি করে বাংলায় বেআইনি আগ্নেআস্ত্রের কারবার ফেঁদে বসা এক BJP নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম গঙ্গাধর কর্মকার। পূর্ব বর্ধমানের গলসির সিমনোড়ী গ্রামে তাঁর বাড়ি। জেলার মেমারি থানার পুলিশ সোমবার রাতে মেমারির কানইডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ৭ এম এম পিস্তল ও ৫ রাউণ্ড কার্তুজ-সহ হাতেনাতে এই বিজেপি নেতাকে পাকড়াও করে। পুলিশের দাবি, জেরায় বেআইনি আগ্নেআস্ত্রের কারবারে জড়িত থাকার কথা ধৃত ব্যক্তি স্বীকার করে নিয়েছে। বাংলায় বসে বিজেপি নেতার আগ্নেআস্ত্রের বেআইনি কারবার চালানোর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কর্মকার ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদ আসনে বিজেপি প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এমনকী তিনি বিজেপির মণ্ডল সভাপতিও হয়েছিলেন। এহেন বিজেপি নেতার বেআইনি আগ্নেআস্ত্রের কারবারে জড়িত হয়ে পড়ার খবর সোমবার গোপন সূত্রে পৌঁছোয় মেমারি থানার পুলিশের কাছে। গঙ্গাধর আগ্নেযাস্ত্র ডেলিভারি করতে মেমারির পালসিট সংলগ্ন কানাইডাঙ্গা এলাকায় আসছে, এই খবরও আগাম পেয়ে যান মেমারি থানার ওসি প্রীতম বিশ্বাস। এরপরেই ওসির নির্দেশ মতো মেমারি থানর সাব ইন্সপেক্টর সাবির আলি তাঁর টিম নিয়ে কাইনডাঙ্গা এলাকায় ঘাঁটি গাড়েন। রাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ নিয়ে গঙ্গাধর কর্মকার কানাইডাঙ্গা এলাকায় পৌঁছোতেই পুলিশ হাতেনাতে তাকে পাকড়াও করে।
পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত গঙ্গাধর কর্মকার স্বীকার করেছেন, ৭ এম এম পিস্তলটি ও কার্তুজ তিনি বিহারের মুঙ্গেরের এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিনেছিলেন। সেই আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ বিক্রি করতে গঙ্গাধর মেমারিতে এসেছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:যাদবপুর-কাণ্ডে ফের গ্রেফতারি, থানার সামনে তুমুল বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ মঙ্গলবার ধৃত গঙ্গাধর কর্মকারকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে। এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ ) অভিষেক মণ্ডল বলেন, “তদন্তকারী অফিসার ধৃতকে ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার দাবি এদিন আদালতে জানান। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে তার সঙ্গে মুঙ্গেরের অস্ত্র কারবারিদের যোগ কতটা গভীরে রয়েছে এবং কতদিন ধরে তিনি বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্রের কারবার চালাচ্ছেন তা জানার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি সোমবার রাতে কোন ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র ডেলিভারি দিতে গঙ্গাধর কর্মকার মেমারিতে পৌঁছেছিলেন তাও জানার চেষ্টা করা হবে বলে এসডিপিও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- Suvendu-Dilip: দীর্ঘদিন পর এক ফ্রেমে শুভেন্দু-দিলীপ, চনমনে BJP বিধায়করা, মিলছে 'বড় ইঙ্গিত'!
এদিকে বিজেপি নেতার আগ্নেয়াস্ত্র কারবারে জড়িত থাকার কীর্তি ফাঁস হতেই সরব হয়েছে মেমারির তৃণমূল নেতৃত্ব । মেমারি ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটাই বিজেপির আসল রূপ। তাই বাংলার মানুষ এদের কোনওদিনই গ্রহণ করবে না।“ অন্যদিকে জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “একথা ঠিক ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হয়ে গঙ্গাধর কর্মকার জেলা পরিষদের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে বিজেপি করার জন্য গঙ্গাধরবাবুকে ফাঁসানো হল, নাকি তিনি প্রকৃতই আগ্নেয়াস্ত্র কারবারে জড়িত ছিলেন তার যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার। যদি প্রমাণ হয় যে গঙ্গাধর কর্মকার প্রকৃতই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারবারে যুক্ত তবে আইন মোতাবেক তাঁকে শাস্তি ভোগ করতেই হবে।"
আরও পড়ুন- Mamata-Suvendu: 'কেজরিওয়াল যেখানে মমতাও যাবেন সেখানে', তৃণমূলনেত্রীকে বেনজির কটাক্ষ বিরোধী দলনেতার