/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/15/cats-2025-08-15-19-26-33.jpg)
২০২৬ ভোটের আগে বিরাট ভাঙন বঙ্গ বিজেপিতে
BJP VS TMC: ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড়সড় ভাঙন বঙ্গ বিজেপিতে। স্বাধীনতা দিবসের দিন তৃণমূলের পতাকা হাতে নিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সম্পাদক, মহিলা মোর্চার সহ সভানেত্রী। ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির সভানেত্রী। সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। হাজরা মোড়ে এই যোগদান অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও বিধায়ক দেবাশিস কুমার।
অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মোদীর তুলোধোনায় হাততালি শাহের, পদত্যাগটা কবে? প্রশ্ন মহুয়ার
দীর্ঘদিন বিজেপির নেতৃত্বে থাকার পর আক্ষেপ ছিল দলের কর্মীদের জন্য কিছু করতে পারছিলেন না। দলের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে তাঁর কিছু সমস্যাও হচ্ছিল। তৃণমূলে যোগ দিয়ে সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী বলেন, "সব থেকে বড় কথা আমার ব্যক্তিগত সমস্যা হচ্ছিল। এটা নয় যে আমার পদ নেই, নতুন করে পদ পাব। আমি রাজনীতি করতে এসেছি মানুষের জন্য কাজ করতে। বিজেপিতে সেগুলো করতে পারিনি। অনেক চেষ্টা করেছি। অনেকের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। কথা দিয়েও করতে পারিনি। অনেকে ক্ষুব্ধ হয়েছে। কোনওদিন যদি পারি সাহায্য করব। আমার ব্যক্তিগত বড় সমস্যা হয়েছিল। এই সময় তৃণমূলের কিছু লোক আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। বিজেপির থেকে আমি কোনও সাহায্য পাইনি। এই সব কারণেই দল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত। অনেকে বলছে দল খারাপ, কিছু ভালো তো আছে। সেই ভালোটুকু নিয়েই থাকব।"
টানা তিন দিনের ছুটিতে দীঘায় জনজোয়ার, জগন্নাথ মন্দিরে জন্মাষ্টমীর এলাহি আয়োজন চমকে দেবে
এদিন সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরীর সঙ্গে জেলা ও মন্ডল পর্যায়ের কয়েকজন নেতাও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির ভাঙনে উচ্ছ্বাস ঘাসফুল শিবিরে।
দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিন হাজির হয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ও প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দুজনের হাসিমুখ সবার নজর কেড়েছিল। দিলীপ ঘোষ বন্ধু বলে সম্বোধন করেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। পরবর্তীতে বিজেপি নেতাদের তোপের মুখে পড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। জোর গুঞ্জন ছড়িয়েছিল তৃনমূলে যোগ দিতে পারেন দিলীপ। তারই মধ্যে সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী পদ্ম ছেড়ে এলেন ঘাসফুলে। রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা দলবদলের তালিকায় এরপর কে?