/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/03/cats-2025-09-03-17-46-12.jpg)
ব্রাত্যকে পেটানোর নিদান
Bratya Basu Remarks On Indian Army: ধর্মতলায় তৃণমূলের ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ খোলা নিয়ে ভারতীয় সেনাকে আক্রমণের অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে। আর এনিয়ে শিক্ষামন্ত্রী 'পেটানোর নিদান' বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে ব্রাত্যর মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বলেন, ''রাজ্যের একজন মন্ত্রী হয়ে কীভাবে ভারতবর্ষের তুলনা বাংলাদেশের সঙ্গে করে? আমি বিধানসভায় ছিলাম না বলে। ব্রাত্য বসুকে পেটানো দরকার ছিল।''
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য ঘিরে চলা বিতর্কের আগুনে ঘি ঢাললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি কড়া ভাষায় এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বলেন, “ভারতীয় সেনা দেশবাসীর গর্বের প্রতীক, সম্মানের প্রতীক। এই ধরনের মন্তব্য করে আদতে শুধু সেনাকেই নয়, দেশকেও অপমান করা হচ্ছে।” তাঁর কথায়, এভাবে সেনার সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই টেনে এনে আসলে তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্যের সরকার দেশবিরোধী পথে হাঁটছে"।
আরও পড়ুন- আরপিএফের দুরন্ত তৎপরতা, উদ্ধার চার নাবালক, অভাবনীয় উদ্যোগের প্রশংসা সর্বত্র
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিধানসভায় মঙ্গলবার চরম উত্তেজনা ছড়াল। ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেন, সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলনের মঞ্চ ভাঙার সময় সেনার ভূমিকা তাঁকে মনে করিয়ে দেয় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকার সেই ভয়ঙ্কর রাতের কথা, যখন পাকিস্তানি সেনারা অপারেশন সার্চলাইট চালিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল।
তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিজেপি তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ভারতীয় সেনাকে পাকিস্তান সেনার সঙ্গে তুলনা করে আসলে অপমান করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ভারতীয় সেনাকে রাজনীতির সঙ্গে জড়ানো হয়েছে। সেনার অপমান আমরা মানছি না, মানব না।” এর পরেই বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে শুরু করেন।
/filters:format(webp)/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/03/arjun-singh-on-bratya-basu-2025-09-03-17-32-10.jpg)
আরও পড়ুন-CAA নিয়ে বিরাট ঘোষণা! বাড়ল ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের সুযোগ, কারা পাবেন এই সুবিধা?
বিধানসভায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি প্রতিবাদ চালিয়ে গেলে, তাঁকে পুরো অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়। শুভেন্দু বলেন, “আমি গর্বিত যে ভারতীয় সেনার সম্মান রক্ষার জন্য আওয়াজ তোলার কারণে আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তৃণমূল পাকিস্তানের দালাল।”
এদিকে, রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপি ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী মন্তব্য করেছেন, ব্রাত্য বসুর মন্তব্য যথেষ্ট অপ্রাসঙ্গিক এবং এই মন্তব্য তৃণমূলের জন্য উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে।
আরও পড়ুন-'আমি ক্ষমা করলেও দেশবাসী করবে না', মা'কে কুকথা কাণ্ডে গর্জে উঠলেন মোদী
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবারের ঘটনায় সেনার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ তোলেননি। তিনি স্পষ্ট করেছেন, সেনা নয়, বিজেপি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং রাজনৈতিক স্বার্থে সেনাকে ব্যবহার করছেন।