/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/13/bratya-2025-09-13-16-12-16.jpg)
Bratya Basu-Shanta Dutta Dey: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপারাচ্রয শান্তা দত্ত দে।
বেনজির! কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত দেকে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ শানালেন খোদ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সম্প্রতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তীকে পাঁচ বছরের জন্য সেন্সর করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য শান্তা দত্ত দে সাফ জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই শাস্তির ব্যবস্থা করতে হয়েছে। অভিযোগ গত ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শাসকদলের চাপে নতিস্বীকার না করেই পরীক্ষার সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। পরে অভিরূপের নেতৃত্বে উপাচার্যের ঘরের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় টিএমসিপি। এমনকী উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে ওই ছাত্রনেতা কটূক্তি করেন বলেও অভিযোগ। তারপরেই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তার বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক পদক্ষেপের কথা জানান। যদিও উপাচার্য শান্তা দত্ত দের প্রতি রাজ্যের সরকার যে যারপরনাই অসন্তুষ্ট তা এদিন শিক্ষামন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত দের সমালোচনা করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এদিন বলেন, "একজন ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসামূক আচরণ। জানি না এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিতে আছে কিনা। এমনিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বভারতীয় স্তরের Ranking প্রায় শেষ, ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখানে ছাত্রদের ধরে ধরে এভাবে টার্গেট করা, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা মেটানো, এটা ছাত্র সমাজের পক্ষে দুশ্চিন্তার। উপাচার্য যে এত নিচে নামতে পারেন এটা আমার ধারণার বাইরে। সে যে কেউ হোক, কেয়ারটেকার হোক আর যাই হোক। মূয়রপুচ্ছ গায়ে জড়ালেও কাক কাকই থাকে। ছাত্ররা এই কাকেদের ঠোক্কর খাচ্ছে।"
এরই পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মৃত্যু নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, "আমাদের উপাচার্য ছিলেন, তিনি ভালোভাবে কাজ করছিলেন। সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়কে মস্তকহীন করে দেওয়া হল, মুণ্ডহীন বিশ্ববিদ্যালয়। আসলে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই এটা একটা প্ল্যানিং, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যাতে অরাজকতা হয়। কারও ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছার বলি হচ্ছে ওই বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো।"
আরও পড়ুন-JU: ছাত্রী-মৃত্যুর পর শেষমেষ কঠিন সিদ্ধান্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের! জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা
তিনি আরও বলেন, "একটা বিশ্বিবিদ্যালয়ে যদি উপাচার্য না থাকে, যাদবপুরের মতো একটা সংবেদনশলী বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে অতীতেও এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটেছে, সেখানে নৈরাজ্য স্বাভাবিক কথা। কলকাতা বিশ্বিবিদ্যালয় যেমন রাজধর্ম পালন করত গিয়ে তলানিতে চলে গেছে, যাদবপুর তাও একটা সর্বোচ্চ জায়গায় গেছে। তবে শৃঙ্খলার জন্য একজন উপাচার্যের আসা জরুরি।"
অন্যদিকে, আগামিকাল SSC-এর একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। মসৃণভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করতে এসএসসি সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এ ব্যাপারে ব্রাত্য বসু বলেছেন, "পরীক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করছি, প্রশাসন সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে, আপনার শান্ত মনে পরীক্ষা দিন। এসএসসি নির্ভুল এবং অভ্রান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। আশা রাখছি কাল পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হবে।"