Medical College Rape Case:ফের রাজ্যের নামি সরকারি মেডিকেল কলেজে ধর্ষণ, তোলপাড় ফেলা অভিযোগে উত্তাল বাংলা

Medical College Rape Case: রাজ্যের নামি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হস্টেলে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল। কঠগড়য়ায় জুনিয়র ডাক্তার

Medical College Rape Case: রাজ্যের নামি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হস্টেলে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল। কঠগড়য়ায় জুনিয়র ডাক্তার

author-image
Pradip Kumar Chattopadhyay
New Update
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ধর্ষণ — Burdwan Medical College Rape  জুনিয়র ডাক্তার ধর্ষণ মামলা — Junior Doctor Rape Case  সরকারি হাসপাতাল নিরাপত্তা — Government Hospital Security  আর জি কর কাণ্ড — RG Kar Incident  বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হস্টেল কাণ্ড — Burdwan Medical College Hostel Case  পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ধর্ষণ — West Bengal Medical College Rape  আগাম জামিন জুনিয়র ডাক্তার — Anticipatory Bail Junior Doctor  হাসপাতাল হস্টেল নিরাপত্তা — Hospital Hostel Security

আর জি কর কাণ্ডের বছর পেরোতেই ফের রাজ্যের নামি সরকারি মেডিকেল কলেজে ধর্ষণ

Medical College Rape Case: আরজি কর কাণ্ডে বছর পার! ন্যায় বিচারের দাবিতে রাজপথে এখনও আন্দোলন অব্যাহত। এর মাঝেই রাজ্যের নামি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের  হস্টেলে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল।কঠগড়য়ায় জুনিয়র ডাক্তার।  

Advertisment

ফের ধর্ষণ রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে। এবার ঘটনাস্থল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল। প্রেমিকাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে। জুনিয়র ডাক্তারের কুকীর্তির কথা সবিস্তার উল্লেখ করে নির্যাতিতা বাঁকুড়ার ছাতনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল বর্ধমান থানা এলাকা হওয়ায় এফআইআর ছাতনা থানা থেকে বর্ধমানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন- উৎসবের মরশুম শুরুর মুখে বাম্পার খবর! বর্ধমান-কাটোয়া রুটে আরও ট্রেন

Advertisment

বর্ধমানের সিজেএম মামলা রুজু করে তদন্তের জন্য বর্ধমান থানার আইসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করেছে বর্ধমান থানা। অভিযুক্ত চিকিৎসককে অবশ্য এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। বর্ধমান আদলত সূত্রে জানা গিয়েছে ,’গ্রেফতারি এড়াতে অভিযুক্ত আগাম জামিনের আবেদন করেছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ না করা পর্যন্ত সপ্তাহে দু’দিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে এধরনের অপরাধ না করার এফিডেভিট করে মুচলেকা দেওয়ার শর্তে জেলা জজ সুজয় সেনগুপ্ত
অভিযুক্তের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন’। 

অভিযুক্তের দুই আইনজীবী পার্থ হাটি ও গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার বলেন, যেহেতু প্রেমিকা সাবালক, তাই এক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগ সঠিক নয় বলে আদালতে তুলে ধরা হয়। তাছাড়া ঘটনার কয়েকদিন পর অভিযোগ জানানো হয়েছে। জেলা জজ তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে এফিডেভিট জমা দেওয়ার শর্তে জুনিয়র ডাক্তারের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি ১০ দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে সিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করারও নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন-কবে নিজস্ব স্পেস স্টেশন গড়বে ভারত? বর্ধমান থেকে বড় বার্তা ইসরো চেয়ারম্যানের

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে,“ ঘটনার মাস দু’য়েক আগে তরুণীর সঙ্গে বাঁকুড়ার সারেঙ্গা থানা এলাকার ওই চিকিৎসকের ফেসবুকে পরিচয় হয়। ক্রমে দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ে। ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে একাধিকবার সাক্ষাৎও হয়। এরপর প্রেমিকাকে ৬ জুলাই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ডেকে পাঠায় অভিযুক্ত চিকিৎসক। প্রেমিকের কথামতো ওই দিন বেলা আড়াইটে নাগাদ যুবতী হস্টেলে পৌঁছে যান। হস্টেলের রুমে নিয়ে গিয়ে যুবতীকে ওই চিকিৎসক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। নানাভাবে তিনি তাঁর মন জয়ের চেষ্টা করে। এরপর যুবতীর সঙ্গে তিনি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে । তারপর থেকেই তিনি যুবতীকে এড়িয়ে চলতে থাকেন। যুবতীকে বিয়ে করতেও তিনি অস্বীকার করেন। এমনকী যুবতীর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক তিনি ছিন্ন করে দেন। এমন ঘটনা মেনে নিতে না পেরে ১৬ জুলাই যুবতী ওই জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে বাঁকুড়ার ছাতনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন“। 

আরও পড়ুন-SIR থেকে নজর ঘোরাতেই....! সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে মোদী সরকারকে তুলোধোনা অভিষেকের

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হস্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কীভাবে একজন চিকিৎসক বহিরাগতকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ঘরে নিয়ে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।ঘটনার কথা জেনে তীব্র নিন্দা করেছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি  মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র । তিনি বলেন,“এই ঘটনা প্রমাণ করছে আরজি কর কাণ্ডের পরেও নিরাপত্তার হাল ফেরেনি রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে। তাই আরজি কর কাণ্ডের এক বছর পার হতে না হতে ধর্ষণের ঘটনায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাম জড়াল।”

rape burdwan