রাজ্যের নামি সরকারি মেডিকেল কলেজ ভয়ঙ্কর কাণ্ড! তোলপাড় ফেলা ঘটনায় শিউরে উঠছেন সকলে

বুধবার দুই ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে।বিচারক দুই ধৃতকে ৩ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। শিশু পুত্রকে ফিরে পেয়ে খুশি শিশুর মা ও পরিবার সদস্যরা।

বুধবার দুই ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে।বিচারক দুই ধৃতকে ৩ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। শিশু পুত্রকে ফিরে পেয়ে খুশি শিশুর মা ও পরিবার সদস্যরা।

author-image
Pradip Kumar Chattopadhyay
New Update
burdwan-medical-college-infant-kidnapping-mother-daughter-arrested

রাজ্যের নামি সরকারি মেডিকেল কলেজ ভয়ঙ্কর কাণ্ড!

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১৮ দিনের শিশু  চুরির অভিযোগে এক যুবতী ও তাঁর মাকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ধৃত যুবতীর নাম রিংকি খাতুন ওরফে রুমকি এবং তাঁর মায়ের নাম মিনিন্দা বিবি। রিংকির বাপের বাড়ি বর্ধমানের কৃষ্ণপুরে ও শ্বশুর বাড়ি বর্ধমানেরই বিজয়রামে। মঙ্গলবার দুপুরে বর্ধমান হাসপাতাল থেকে ১৮ দিনের শিশুপুত্র চুরি যাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে পুলিশ এই দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করে। তাদের কাছ থেকেই  উদ্ধার হয় শিশুপুত্রটি।  সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ বুধবার দুই ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে।বিচারক দুই ধৃতকে ৩ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। শিশু পুত্রকে ফিরে পেয়ে খুশি শিশুর মা ও পরিবার সদস্যরা। 

Advertisment

আরও পড়ুন- ফের সপ্তাহান্তে বৃষ্টি?বাংলায় জাঁকিয়ে শীত কবে? রইল আবহাওয়ার বিরাট আপডেট

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,বীরভূমের কীর্ণাহারের বলরামপুরে বাড়ি ওই শিশুর পরিবারের। শরীর খারাপ হওয়ায় ১৮ দিনের শিশু পুত্রকে নিয়ে শিশুটির মা সেলেফা খাতুন ও তাঁর স্বামী সুজল শেখ মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোর শিশু বিভাগে আসেন। সঙ্গে ছিলেন সেলেফার মা হামিদা বিবি।সেলেফার নিজেরও ওইদিন হাসপাতালে প্রসূতি চিকিৎসকের কাছে চেকআপ করনোর কথা ছিল। 

Advertisment

সেলেফা খাতুন পুলিশকে  জানান, ‘তিনি তাঁর ১৮ দিনের শিশু পুত্রকে বর্ধমান হাসপাতালের আউটডোরে শিশু চিকিৎসকে দেখাত আসেন। সঙ্গে তাঁর মা এবং স্বামীও ছিলেন। শিশু চিকিৎসককে দেখানো হয়ে যাওয়ায় পর তাঁরও ডাক্তার দেখানোর কথা ছিল। তাই তিনি তাঁর শিশু পুত্রকে নিয়ে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের বহিঃবিভাগের বারান্দায় বসেছিলেন। সেলেফার স্বামী সুজল শেখ হাসপাতালের বাইরে ওষুধের দোকানে যান ছেলের ওষুধ কিনতে। মেয়ের কাছে  কিছুক্ষণ বসে থাকার পর তাঁর মাও ডাক্তার দেখাতে যান।

আরও পড়ুন- দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে নয়া মোড়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কেন প্রকাশ্যে 'ক্ষমা' চাইলেন নির্যাতিতার বাবা?

সেলেফা খাতুনের অভিযোগ,ওই সময়েই হলুদ রঙের চুড়িদার পরিহিতা অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলা তাঁর কাছে এসে তাঁর শিশুপুত্রকে আদর করতে থাকে। খানিক পর তাঁর শিশুপুত্রকে কোলেও নেন ওই মহিলা। এর পর আচমকাই তাঁর শিশু পুত্রকে কোলে নিয়ে ওই মহিলা উধাও হয়ে যান। ছেলেকে না পেয়ে মা সেলেফা খাতুন হাসপাতালেই কান্নাকাটি  জুড়ে দেন। এই ঘটনা জানাতে পেরেই ডাক্তার দেখানো ফেলে রেখে হামিদা বিবি তড়িঘড়ি তাঁর মেয়ের কাছে ছুটে আসেন। মেয়ের কাছ থেকে গোটা ঘটনা জানার পর তিনি তাঁর জামাই সুজল সেখকে ফোন করে সব জানান। সুজল শেখ সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

আরও পড়ুন- ফের সপ্তাহান্তে বৃষ্টি?বাংলায় জাঁকিয়ে শীত কবে? রইল আবহাওয়ার বিরাট আপডেট

শিশু চুরির অভিযোগ পেয়োই নড়ে চড়ে বসে পুলিশ। ডিএসপি (হেডকোয়ার্টার) দেবাশীষ চক্রবর্তী ও বর্ধমান থানার আইসি দিবেন্দু দাস হাসপাতালে পৌঁছান। পুলিশ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্ত  চালিয়েই পুলিশ শিশুপুত্রকে চুরির ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করে।তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা জানতে পারেন,“হাসপাতাল থেকে চম্পট দেওয়ার পর শিশুপুত্র কে সঙ্গে নিয়ে রিংকি খাতুন সোজা চলে যায় নিজের বাপের বাড়ি খাগড়গড়ের উত্তরপাড়ার ভাড়াবাড়িতে। ওই বাড়িতেই শিশুপুত্রটি আছ বলে স্থানীয় দের সাহায্যে পুলিশ জানতে পারে। এরপর ওই বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ শিশুপুত্রকে উদ্ধার করার পাশাপাশি  রিংকি ও রিংকির মা-কেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে । তাদের বিরুদ্ধে অপহরন,১০ বছরের নীচে শিশুকে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া সহ একাধিক ধারায় পুলিশ মামলা ঋজু করে।জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেন, 'শিশুপুত্র টিকে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। 
বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে ঘটনার পিছনে আর কি কি কারণ আছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে'।

আরও পড়ুন- মমতাকে 'প্রাক্তন' করার আগুনে হুঙ্কার, ২৬-এ ভবানীপুর থেকে লড়ছেন শুভেন্দু?

medical college burdwan