/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/24/cats-2025-09-24-18-21-59.jpg)
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ রেজিস্ট্রারকে অনেকটাই স্বস্তি দিল।
কলকাতা হাইকোর্টে ধোপেই টিকলো না বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশ খারিজ করা সংক্রান্ত মামলা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে ড. সুজিত চৌধুরীর কাজের মেয়াদ দু’বছর বৃদ্ধি করে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর। সেই মেয়াদ বৃদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মহেশ্বর বাউরি। তিনি উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশকে বাতিল করা সহ সুজিত চৌধুরীকে রেজিস্ট্রার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে অ্যাক্টিং রেজিস্ট্রার নিয়োগের আবেদন রেখে ছিলেন আদালতে। যদিও মামলাটি খারিজ করে দিয়ে দিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোন প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
মেট্রো স্টেশন থেকে কতটা দূরে পুজো মণ্ডপ? জানুন আপনার স্মার্ট ফোনেই! অবাক করা টেকনিক হাতের মুঠোয়
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আবেদনকারী রেজিস্ট্রার পদে সুজিতের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তর যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তা বাতিলের দাবি হাইকোর্টে জানান। এ বছরের ২ সেপ্টেম্বর উচ্চশিক্ষা দপ্তর রেজিস্ট্রার পদে সুজিত চৌধুরীর মেয়াদ ৬০ থেকে ৬২ করার নির্দেশ দেয়। রাজ্য সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে রেজিস্ট্রার পদের মেয়াদ ৬০ থেকে ৬২ করা নিয়ে ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর। তার ভিত্তিতেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার পদে সুজিতের মেয়াদ বাড়ে।এই নির্দেশ জারির আগেই সুজিত অবসর নেন। তবে নির্দেশ পাওয়ার পর ৯ সেপ্টেম্বর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার পদে যোগ দেন।
পুজোর মুখে নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে শিক্ষামন্ত্রী, ধুন্ধুমার কাণ্ডে হুলস্থূল!
এই যোগদান নিয়ে রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরির সঙ্গে সংঘাত তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্কর কুমার নাথের। রেজিস্ট্রার পদে পুণরায় সুজিতের যোগ দেওয়া মেনে নেননি উপাচার্য।রেজিস্ট্রারের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি জোর করে অফিসে ঢুকেছেন বলে দাবি করে উপাচার্য নিজে বর্ধমান থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এর পাল্টা রেজিস্ট্রারও বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে তাঁকে কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে রেজিস্ট্রার পুলিশকে জানান।
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে হেফাজতে পেতে মরিয়া চেষ্টা ইডির! শেষমেশ আদালত কী জানাল?
উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের এই লড়াই তোলপাড় ফেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ রেজিস্ট্রারকে অনেকটাই স্বস্তি দিল। জানা গিয়েছে, রাজ্যের হয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সওয়াল করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য মামলার সওয়ালে বলেন, 'সুজিতের বিরুদ্ধে অর্থ নয়-ছয়ের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে’।
যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী সুজিতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও অর্থ তছরুপের মামলায় সিআইডি সুজিতকে কার্যত ক্লিনচিট দিয়েছে। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলায় ব্যবহৃত চিঠির হাতের লেখা এবং সইয়ের নমুনার সঙ্গে রেজিস্ট্রার ও ফিনান্স অফিসারের লেখা ও সই মেলেনি বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে সিআইডি। শুধু তাই নয়, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভক্ত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে টাকা তোলায় ব্যবহৃত রেজিস্ট্রার ও ফিনান্স অফিসারের দু’টি জাল রাবার স্ট্যাম্প ’সিট’ উদ্ধার করেছে। রেজিস্ট্রার এদিন বলেন, হাইকোর্টেরর রায়ে সত্য প্রতিষ্ঠা পেল।