Mandarmani: মন্দারমণিতে প্রায় দেড়শো হোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক। যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিলে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষমহলেও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, আলোচনা ছাড়া একটি হোটেল-রেস্তোরাঁও ভাঙা যাবে না। এবার কলকাতা হাইকোর্টও জানিয়ে দিল আপাতত ভাঙা যাবে না মন্দারমণির কোনও হোটেল-রেস্তোরাঁ।
মন্দারমণিতে পরিবেশ বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সমুদ্র উপকূলে ১৪০ টি বেআইনি হোটেল, রেস্তোরাঁ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় পরিবেশ আদালত ওই ১৪০টি হোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে। এরপরই চূড়ান্ত উদ্বেগ তৈরি হয় মন্দারমণির পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানার পর তিনিও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে মুখ্যমন্ত্রীও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন মন্দারমণিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে একটি হোটেল-রেস্তোরাঁও ভাঙা হবে না।
এদিকে হোটেল মালিকদের তরফেও কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের হয়ে মামলা লড়েছিলেন। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে সওয়ালে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "১৯৯৯ সালের নির্দেশের পর এখন কেন হোটেল ভাঙার কথা বলা হচ্ছে?" বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্দারমণিতে হোটেল ভাঙার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে হোটেল বা রেস্তোরাঁগুলির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না প্রশাসন। কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন- Kaliachak Incident: রিলস বানাতে গিয়ে মুহূর্তের অসর্তকা! ভুলের মাশুল জীবন দিয়ে চোকাল কিশোর
আরও পড়ুন- Cyclone Fengal: শীতের পথে বাধা ঘূর্ণিঝড় 'ফেনজল'? বাংলায় বিরাট প্রভাব? স্পষ্ট করল আবহাওয়া দফতর
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর সিআরজেড (কোস্টাল রেগুলেটেড জ়োন ম্যানেজমেন্ট অথরিটি)-র জেলা কমিটির তরফে মন্দারমণি এবং সংলগ্ন আরও চারটি মৌজায় ১৪০টি হোটেল, লজ, রিসর্ট এবং হোম স্টে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০ নভেম্বরের মধ্যে ওই সব বেআইনি নির্মাণ ভেঙে জায়গা পরিষ্কার করতে হবে, নির্দেশ দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০২২ সালে এই বেআইনি হোটেলগুলি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। এরপরেই বিষয়টির জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে।