Jagadhatri Puja 2024: চন্দননগরে জমজমাট জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja 2024)। আজ শনিবার চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মহাষ্টমী। বেলা বাড়লেই জনস্রোত একদা ফরাসডাঙার অলি-গলিতে। চন্দননগর এবং মানকুণ্ডু স্টেশনের বাইরে দুপুরের পর থেকে পা ফেলার জায়গা নেই। ট্রেন থামতেই কাতারে কাতারে মানুষ নামছেন জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম প্রধান বিশেষত্ব রকমারি আলোর ছটা ও অপরূপ দেবী মূর্তি। এককথায় এবারও 'সুপার-ডুপার হিট' চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী উৎসব। দুর্গাপুজোর মতোই হুগলি নদীর পাড়ের শহরে জগদ্ধাত্রী পুজো চলে চারদিন ধরে। চন্দননগরের যে পুজো মণ্ডপগুলিতে মানুষ সবচেয়ে বেশি ভিড় জমান তাদের অন্যতম হেলাপুকুর ধার বারোয়ারির পুজো। এই বছর এই পুজো ৫৫ বছরে পড়েছে। উদ্যোক্তারা এই বছরের পুজোকে 'স্বর্ণকমল বর্ষ' হিসেবে উদজাপন করছেন। এই বারোয়ারির পুজোয় ভিড়ের অন্যতম প্রধান কারণ দেবী জগদ্ধাত্রীর নয়ন জুড়নো স্বর্ণসজ্জা।
চন্দননগরের কোনও বারোয়ারির প্রতিমার সাজে এত স্বর্ণলঙ্কার নেই। জনশ্রুতি প্রায় ১০০ ভরি সোনার অলঙ্কারে এবছরের দেবীপ্রতিমাকে সাজানো হয়েছে। তবে অলঙ্কারের ভরির পরিমাপ নিয়ে কিছু বলতে চাননি হেলাপুকুর ধার পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমিত সরকার। তিনি বলেন, "প্রতিবারের মতো এবারও মায়ের স্বর্ণালঙ্কার স্পনসর করেছে সেনকো গোল্ড। তাঁরা মাকে গয়নায় মুড়িয়ে দিয়েছেন। তবে কোনও পরিমাপ তাঁরা দেননি। যে যেমন ভাবছে সে তেমন বলছে।"
যদিও চাক্ষুস দেখলে বোঝাই যায় প্রায় কোটি টাকার ওপর স্বর্ণালঙ্কারে সজ্জিত হয়েছেন দেবী জগদ্ধাত্রী। বেশ খানিকটা খোলামেলা জায়গা নিয়ে হেলাপুকুর ধারের পুজো মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। এই মণ্ডপকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বেশ আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। পুলিশের কড়া নজরদারি তো আছেই তাছাড়াও বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীও চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। CCTV-তে পুরো এলাকা মুড়ে দেওয়া হয়েছে। এই বারোয়ারির থিমটিও বেশ সুন্দর। প্রখ্যাত শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যা শিশুদের মনের ক্যানভাসের ছবি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন চারপাশে।
আরও পড়ুন- Train Derailment: ফের রেল দুর্ঘটনা, লাইন থেকে ছিটকে গেল শালিমারগামী এক্সপ্রেস ট্রেনের পরপর কামরা
আরও পড়ুন- Rain in West Bengal: আবহাওয়া ধীরে ধীরে বদলাতেই ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা, সপ্তাহ ঘুরলেই প্রবল দুর্যোগ?
এবিষয়ে পুজো কমিটির সম্পাদক সুমিত সরকার বলেন, "আমাদের থিমটা শিশু মন নিয়ে। শিশুরা ছবি আঁকতে গেলে তাদের মনের ক্যানভাসে যে রং ভেসে ওঠে, যে ভাবনা ভেসে ওঠে সেটাই শিল্পী মণ্ডপসজ্জার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আসলে আমরা বোঝাতে চেয়েছি আজকাল এই ন্যানো পরিবারে বেড়ে ওঠা ফ্ল্যাট কালচারে বড় হওয়া শিশুদের মনের রং আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে বসেছে। শৈশব চুরি হয়ে যাচ্ছে। আর এটা বোঝাতে খোলা মাঠে প্রবেশ করার সময়ে দু'পাশে জলছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চন্দননগরের ঐতিহাসিক বাড়িগুলি। এছাড়াও কৃত্রিম ভাবে তৈরি হয়েছে গাছপালা... সবকিছু মিলিয়ে এক মায়াবী পরিবেশ। যেখানে কিছুক্ষণ নিজেকে আটকে রাখতে ইচ্ছে হয়... আর এটাই শিল্পীর মুন্সিয়ানা।"
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: মেট্রোযাত্রীরা এখবর আগে পড়ুন! রবিবারের পরিষেবা নিয়ে বিরাট খবর