Anubrata Mondal: বাড়ি ফিরেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বাবার কান্না দেখে ঠিক থাকতে পারলেন না মেয়ে সুকন্যাও। দলের কর্মী সমর্থকদের আবেগের সামনে জোড় হাত করলেন অনুব্রত। এদিকে, মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূলের অনেক নেতাই দেখা করতে গিয়েছিলেন। কারও কারও সঙ্গে দেখা করেছেন কেষ্ট। তবে কাউকে কাউকে এদিন বাড়িতে ঢুকতেই দেননি তিনি। এই বিষয়টিই এদিন বেশ নজর কেড়েছে।
গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়ে মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ বোলপুরের নিচুপট্টিতে নিজের বাড়িতে পা রেখেছেন অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। তাঁদের স্বাগত জানানোর জন্য এদিন পূর্ব বর্ধমানের ভেদিয়া, গুসকরা থেকে বোলপুরের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন বহু অনুগামী। কারও গায়ে ছিল 'ওয়েলকাম বাঘ' লেখা টি-শার্ট, কারও হাতে ফুলের মালা।
প্রায় ১৭ মাস তিহাড় জেলে থাকার জন্য অনুব্রত বা সুকন্যার সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁদের। এদিন অনুব্রত মণ্ডল বাড়ির সামনে গাড়ি থেকে নামতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়তে দেখা যায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত এদিন বলেন, "হাতে-পায়ে কোমরে ব্যথা। শরীরটা ভালো নেই। শরীর ঠিক থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব।"
আরও পড়ুন- Anubrata Mondal: ফের চেনা ছন্দে কেষ্ট-গড়, গমগম করছে নীচুপট্টি! চোখে জল অনুব্রতর, আবেগী সুকন্যাও
আরও পড়ুন- Anubrata Mondal: 'দিদির আশীর্বাদে ভালো আছি, দিদির পাশে থাকব', ঘরে ফিরেই বার্তা অনুব্রত মণ্ডলের
এদিকে অনুব্রত মণ্ডল এদিন বাড়িতে ফিরতেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ, বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ, নলহাটির তৃণমূল বিধায়ক রাজেন্দ্র সিংহ। তাঁদের সঙ্গে কথা বললেও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিকাশ রায়চৌধুরী, মলয় মুখোপাধ্যায়দের সঙ্গে এদিন দেখাই করতে চাননি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর বাড়িতে ঢুকতে চাইলে সেখানে উপস্থিত কয়েকজন কর্মী ওই তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের পরে আসতে বলেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন চর্চা ছড়িয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মনোয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "কয়েক ঘন্টা জার্নি করে ফিরেছেন। তাই তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন খুব একটা ভালো নেই শুনলাম। তার পায়ে ব্যথা আছে। স্নান করে হয়তো পরে নীচে নামবেন।"