/indian-express-bangla/media/media_files/DhaOfnhuiCvaJT7L3Xn7.jpg)
ED: প্রতীকী ছবি।
কালীপুজোর পরেই ফের অ্যাকশনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের কারা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা আগে থেকেই কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে ছিলেন। আদালতের নির্দেশে তাকে পরপর দু'দিন ডেকে হাজিরা দিতে বলা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে মন্ত্রীর দেওয়া উত্তরগুলোতে তদন্তকারীরা সন্তুষ্ট হননি। এই কারণে বুধবার তাকে পুনরায় ইডি দফতরে হাজিরার জন্য ডাকা হয়েছে।
মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইডির নজর আরও বাড়ে, যখন তার বোলপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ওই অভিযানকালে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া টাকার উৎস সম্পর্কে চন্দ্রনাথ সিনহা সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। এরপরই আদালতে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- Bengali sweets: রসগোল্লা থেকে মোয়া, বাংলার মিষ্টির মাধুর্যে জড়িয়ে স্বর্ণালী এক ইতিহাস!
প্রাথমিকভাবে ইডি দফতরে হাজিরা না দেওয়ায় মন্ত্রীকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হয়। আদালত তাকে জামিন দেয়, তবে মামলার তদন্তে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দেন। নির্দেশনার ভিত্তিতে চন্দ্রনাথ সিনহা পরপর দু'দিন ইডি দফতরে হাজিরা দেন। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার দেওয়া উত্তরগুলোর সঙ্গে সন্তুষ্ট হননি তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন- Maheshtala murder:সামান্য বিরোধের পরিণতি হত্যাকাণ্ড! গ্রেফতার দুই যুবক
ইডি সূত্রের দাবি, তদন্তকারীরা প্রমাণ সংগ্রহের পাশাপাশি আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাইছেন। কারা মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও আদালতের নির্দেশে ইডির ডাকে হাজিরা দিতে হওয়ায় রাজনৈতিক মহলেও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির এই মামলায় চন্দ্রনাথ সিনহার নাম জড়ানোর ফলে শিক্ষাঙ্গন ও রাজনীতির অঙ্গনে তোলপাড় পড়েছে।
এদিকে, ইডি জানিয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ ও জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত থাকবে। সর্বশেষ ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে, সংস্থাটি এই মামলায় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং যে কোনও ধরনের দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।