/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/23/dog-2025-10-23-10-17-09.jpg)
Chinsurah cruelty incident: রাস্তার কুকুরদের উপর অকথ্য অত্যাচার।
কারও কান কেটে নেওয়া হয়েছে, কারও লেজ কাটা, কারও আবার চোখ ওপড়ানো, এমনকী যৌনাঙ্গও কেটে নেওয়া হয়েছে। পথ কুকুরদের ওপর এমন নৃশংস-গা শিউরে ওঠার মতো অত্যাচার কাদের? এই প্রশ্নের উত্তর নেই এলাকার কারও কাছেই। ঘটনাস্থল চুঁচুড়া রেল স্টেশনের কাছে ময়নাডাঙা কলোনি। নামে কলোনি হলেও এই এলাকাটি যথেষ্ট অভিজাত।
ময়নাডাঙার চিকিৎসক দম্পতি পি কে ঘোষ রীনা ঘোষের বাড়িতে বেশ কয়েকটি পথ কুকুরের আশ্রয়স্থল। তাদের খাবার দেওয়া থাকা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন দম্পতি। তাঁদের একমাত্র পুত্র দেবরাজ নিজের কর্মব্যস্ততার মধ্যেই ওই কুকুর গুলোর যথেষ্ট দেখভাল করেন। সম্প্রতি তাঁর নজরে আসে চারটি গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁর বাড়ির সামনেই ঘুরঘুর করছে।
তাদেরকে দেখে চমকে ওঠেন দেবরাজ। কারও কান নেই, কারও চোখ...কোনও কুকুরের পুরুষাঙ্গও যেন ছিঁড়ে নিয়েছে। এরপরেই ক্ষুব্ধ দেবরাজ সমাজমাধ্যমে এই নিয়ে লেখেন। নজরে পড়ে চন্দননগরের এক পশুপ্রেমী সঞ্চিতা পালের। তিনি ময়নাডাঙায় এসে কুকুরগুলির দশা দেখে শিউরে ওঠেন।
আরও পড়ুন- Sonarpur news:উৎসবের আনন্দের আবহেই নৃশংস হত্যাকাণ্ড! শোকের ছায়া এলাকায়
কালীপুজোয় শব্দ বাজির তান্ডবে এমনিতেই ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে চায়নি কুকুর গুলো। দেবরাজের বাবা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক পি কে ঘোষ বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাড়িতে কুকুর আছে। আমি যেখানে চেম্বার করি সেখানেও অনেক কুকুর থাকে। কুকুরগুলির জন্য আমি খাবার নিয়ে যাই। রাস্তার কুকুর হলেও তারা আমাদের বাড়িতে থাকে। গতকাল দেখলাম কুকুর গুলোর উপর অত্যাচার হয়েছে। অবলা জীব তাদের উপর কে বা কারা এমন করল জানি না। তবে সভ্য মানুষজন এমন করতে পারে না।"
পথ কুকুর বিড়ালদের নিয়ে কাজ করা চন্দননগরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঞ্চিতা পাল বলেন, "আমরা মূলত রাস্তার অসুস্থ অত কুকুরদের নিয়ে কাজ করি। আমি খবর পেলাম চুঁচুড়ার ময়নাডাঙা এলাকার চার-পাঁচটি কুকুরের উপর অমানুষিক অত্যাচার হয়েছে। কান লেজ কেটে নেওয়া হয়েছে, চোখ তুলে নেওয়া হয়েছে, প্রাইভেট পার্টস কেটে দেওয়া হয়েছে। দিনের পর দিন ধরে এই অবলা জীবগুলোর উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে।"
তিনি আরও বলেন, "কিছুদিন আগে চন্দননগর লালবাগান এলাকায় একটি বাচ্চা কুকুরকে চোখের মধ্যে অ্যাসিড দিয়ে দেয়। পরে জানা যায় পাড়ারই একজন এই জঘন্য কাজটি করেছে। আমরা মানুষকে সচেতন করছি তাও পশুদের উপর অত্যাচার বেড়ে চলেছে। এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।অসুস্থ কুকুরগুলির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সমাজের সুস্থ মানুষদের উদ্দেশে বলবো এরকম ঘটনা ঘটলে রুখে দাঁড়ান, প্রতিবাদ করুন, আইনের দ্বারস্থ হন।"
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us