/indian-express-bangla/media/media_files/WA2KVZVe1rvqjgKnqNGq.jpg)
Arijit Singh: অরিজিৎ সিং।
Arijit Singh: প্রখ্যাত কিংবদন্তী বাঙালি সঙ্গীত শিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ! অভিযোগ দায়ের করেছেন বোলপুরের এক বাসিন্দা। তিনি নিজেও একজন শিল্পী। অভিযোগের নেপথ্যে রয়েছে শুটিং চলাকালীন অরিজিৎ সিংয়ের দেহরক্ষীদের দ্বারা অভিযোগকারীকে শারিরীক হেনস্থা করার ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ শোরগোল বোলপুর জুড়ে।
উল্লেখ্য়,গত কয়েকমাস ধরেই সঙ্গীত শিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের বোলপুরে নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। জানা গেছে, কোনও এক শুটিংয়ের স্বার্থেই ব্যস্ততম শিল্পীর বোলপুরে আসা-যাওয়া বেড়েছে। গত ১৩ অগস্ট শান্তিনিকেতনের তালতোর এলাকায় শ্যুটিং চলছিল। শ্যুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন অরিজিৎ সিং। সেই সময় কোপাইয়ের দিকে বাইক নিয়ে নিজের কাজে যাচ্ছিলেন কমলাকান্ত লাহা নামে এক ব্যক্তি। তিনি শান্তিনিকেতনের সুভাষপল্লীর বাসিন্দা, পেশায় সঙ্গীত যন্ত্রাংশ নির্মাতা।
অভিযোগ, শ্যুটিং চলায় তাঁকে ৫ মিনিট অপেক্ষা করতে বলেন অরিজিৎ সিংয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা। ৫ মিনিট পরেও তাঁকে যেতে না দেওয়ায় তিনি রক্ষীদের অনুরোধ করেন পথ ছাড়তে।
আরও পড়ুন- Independence Day 2025:স্বাধীনতা দিবসে কলকাতায় মেট্রোর বিশেষ সময়সূচি, ভোগান্তি এড়াতে বিশদে জানুন
তিনি জানান, তাঁর কর্মক্ষেত্রে যেতে দেরি হচ্ছে। তাই ছেড়ে দেওয়া হোক। কমলাকান্ত লাহার অভিযোগ, ‘‘অরিজিৎ সিংয়ের দেহরক্ষীরা জানান আরও ৩০ মিনিট দাঁড়াতে হবে। সেই বারণ না শুনে রাস্তা দিয়ে যেতে গেলে শিল্পীর দেহরক্ষীরা ছুটে আমাকে চ্যাংদোলা করে সরিয়ে দেন। এমনকি, দাঁড়িয়ে থাকা শান্তিনিকেতন থানার গাড়িতে তুলে দিতে যাচ্ছিল। ধস্তাধস্তিতে আমার হাতের একটি সোনার আংটিও খোয়া গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন-ISKCON:শিয়ালদহ থেকে AC লোকাল ট্রেনে সরাসরি মায়াপুর ISKCON-এ? স্বপ্নের সফর নিয়ে চর্চা তুঙ্গে
এই হেনস্থার ঘটনার পরে পরেই কমলাকান্ত লাহা শান্তিনিকেতন থানায় এসে প্রথমে মৌখিক এবং পরবর্তীতে অরিজিৎ সিং ও তাঁর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই অরিজিৎ সিং বা তাঁর তরফে কারো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে কমলাকান্ত লাহা ঘটনায় বেশ বিধ্বস্ত হয়েছেন।
আক্ষেপের সুরেই তিনি বলেন, ‘‘আমার কাজের চাপ ছিল। তাই যেতে চেয়েছিলাম রাস্তা দিয়ে। তাতেই আমার হাত মচকে তুলে নিয়ে পুলিশের গাড়িতে চাপাতে যায় দেহরক্ষীরা। আমি একজন শিল্পী, আরেকজন শিল্পীর আমার সাথে এই ব্যবহারে আমি ব্যাথিত।’’ বীরভূমের পুলিস সুপার বলেন, ‘‘অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’