curfew imposed Gopalganj:নতুন করে হিংসায় উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল গতকাল। পড়শি দেশের জাতীয় নাগরিক পার্টি বা NCP-র সমাবেশ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল গোপালগঞ্জ। দিকে দিকে সংঘর্ষ, আগুন, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও অনেকে এখনও ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। গতকাল গোপালগঞ্জের ঘটনাকে গণহত্যা বলে আখ্যা দিয়েছে আওয়ামী লিগ। গোপালগঞ্জে দলের নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনা নিয়ে ফের একবার ইউনূস সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দলটি।
বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের একাংশের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি। এই দলটি জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে বাংলাদেশের জেলায় জেলায় 'দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা' শীর্ষক কর্মসূচিতে নেমেছে। সেই পদযাত্রার কর্মসূচির অংশ হিসেবেই গতকাল গোপালগঞ্জে তাদের বিরাট কর্মসূচি ছিল। বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যম 'প্রথম আলো'য় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল গোপালগঞ্জে আওয়ামী লিগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলিগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে এবং অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ৫০-এরও বেশি ব্যক্তি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে গতকাল রাত থেকেই গোপালগঞ্জে কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন। আপাতত আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই কার্ফু বলবৎ থাকার কথা জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মোট ১৪ জনকে আটক করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। যৌথ বাহিনী তাদেরকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেও গোটা গোপালগঞ্জে থমথমে মেজাজ রয়েছে।
আরও পড়ুন- West Bengal news Live Updates:প্রতারণার 'হাইটেক কায়দা', কলকাতার বুকে বিরাট জালিয়াতির পর্দাফাঁস! পুলিশের জালে ১০
রাস্তার ইতি-উতি তখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইট, বাস, কাঠের টুকরো, পাথর। গতকাল নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এই সব ইট, পাথর, লাঠি, বাঁশই ব্যবহার করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তার উপর থেকে সেই সব ইট, বাস ও কাঠের টুকরো সরানোর তৎপরতা শুরু করেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মীরা।
আরও পড়ুন- Purba Bardhaman: বাঁশের মাচায় শেষ যাত্রায় বৃদ্ধা! হাঁটু জল আর কাদার পাহাড় পেড়িয়ে শ্মশানের পথে আত্মীয়রা
যদিও গোপালগঞ্জের গতকালের ঘটনা নিয়ে রীতিমতো আগুনে অভিযোগ আওয়ামী লিগের। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত এই দলের তরফে গোপালগঞ্জের ঘটনাকে 'গণহত্যা' বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ওই দলের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, "খুনি-জঙ্গি-সন্ত্রাসী-অবৈধ-ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার, তার বখে যাওয়া কিশোর গ্যাং বাহিনী কর্তৃক পূণ্যভূমি গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষ, ছাত্র, শ্রমিক, নারী এবং আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের উপর নির্বিচারে-নিষ্ঠুরভাবে গুলিবর্ষণের মাধ্যমে ১৮ জনকে হত্যা, কয়েক শতাধিক আহত হওয়ার প্রতিবাদে এবং দেশধ্বংসকারী মাফিয়া-জালেম গোষ্ঠী ইউনূসকে চিরতরে উৎখাত করার লক্ষ্যে আসন্ন ‘ যমুনা ঘেরাও ' কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কতগুলি কর্মসূচি ঘোষণা করছে।"
আরও পড়ুন- Kolkata Rain Forecast: ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আজও, বেলা গড়াতেই আবহাওয়ায় বড় বদল কোন কোন জেলায়?