/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/17/dakshineswar-2025-10-17-11-49-20.jpg)
Dakshineswar Temple: রঙিন আলোয় সেজে উঠছে দক্ষিণেশ্বরের মন্দির।
এবার দীপাবলিতে চন্দননগরর আলোয় সাজতে চলেছে দক্ষিণেশ্বরের মন্দির। সূত্রের খবর, চন্দননগরের 'আলোর জাদুকর' প্রয়াত বাবু পালের আলো যাচ্ছে দক্ষিণেশ্বর। গতবছর আগস্ট মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছিলেন বাবু পাল। সাবেকি টুনির পরিবর্তে ঝকঝকে এলইডি আলোর ঝলক বাবু পালের হাত ধরেই চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোয় আমদানি। শারদ উৎসব থেকে শুরু করে দীপাবলি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাবু পালের আলোকসজ্জা সমাদৃত হয়।
তিনি মারা যাওয়ার পর ছোট মেয়ে সুশ্বেতা বাবার হাতে গড়া পাল ইলেকট্রিক এর কারখানার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়। যথার্থ সঙ্গ দেন তাঁর মা। আর দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই বাবার শৈল্পিক পরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সচেষ্ট হন সুশ্বেতা। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে মন্দির প্রাঙ্গণের অনেকটা অংশই এবার চন্দননগরের আলোতে আলোকিত হবে বলে জানান তরুণী সুশ্বেতা। তিনি নিজে থেকে দেখভাল করবেন সমস্তটা।
প্রায় চার ট্রাক বোঝাই আলোর সেট ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে দক্ষিণেশ্বরে। এবার আলো লাগানো শুরু হয়ে যাবে। আর তা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করবেন খোদ সুশ্বেতা নিজে। তাঁর কথায়, "আমাদের এই কারখানায় প্রায় ৪০ জন শ্রমিক আছেন সেই বাবার আমল থেকেই। মাসখানেক ধরে দিনরাত কাজ করে তাঁরা বিভিন্ন রকম আলোকসজ্জা তৈরি করছেন, জগদ্ধাত্রী পূজার আগে তার এক ঝলক দেখা যাবে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে।"
আরও পড়ুন-CBI raid:অতর্কিতে পুলিশের শীর্ষকর্তার বাড়িতে হানা CBI-এর, উদ্ধার টাকার পাহাড়
অন্যদিকে চন্দননগরের বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পূজার জন্যও একটু অন্যরকম আলোকশিল্প তৈরী করছেন তাঁরা। এবারে রথের সড়ক বারোয়ারির আলোর দায়িত্ব নিয়েছেন। চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পূজার প্রতিমা নিরঞ্জনের যে ঐতিহাসিক শোভাযাত্রা বের হয় দশমীর রাতে তাতে প্রতিটি বারোয়ারি পিছু প্রতিমা ছাড়াও তিনটি করে আলোকসজ্জা সুসজ্জিত ট্রাক থাকে যেখানে আলোর মুন্সিয়ানা দেখা যায়। লক্ষাধিক দর্শক সারারাত ধরে এই আলোর জাদু তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেন। এবারে রথের সড়ক সার্বজনীনের শোভাযাত্রার আলো দিচ্ছেন সুশ্বেতারা।
অভিনব ভাবনার প্রতিফলন তাঁরা এলইডি র মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলবেন। সুশ্বেতা জানিয়েছেন, তাঁরা দেশের চারদিক অর্থাৎ উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিমের যে সংস্কৃতি, যে ঐতিহ্য সেটাই আলোর মাধ্যমে তুলে ধরবেন। একদিকে দাক্ষিণাত্যের মন্দির, তাদের যে সংস্কৃতি অন্যদিকে রাজস্থানের সুউচ্চ কেল্লা, ঝুমার নৃত্য কাঠপুতলি থেকে শুরু করে গুজরাটের ডান্ডিয়া, গরবা নৃত্য কলকাতার টানা রিকশা সহ বিভিন্ন বৈচিত্র আমরা আলোর মাধ্যমে তুলে ধরবো।" বাবু পাল চলে গেলেও তার উত্তরসূরীরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ শিল্পী চলে গেলেও তাঁর শিল্প হারিয়ে যাবে না।