embankment breach:সরকারের কোটি-কোটি টাকা জলে! তৈরির মাস খানেকের মধ্যেই ধসে পড়ল বাঁধ

Bhutni embankment collapse: কয়েক মাস আগেই কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছিল এই বাঁধটি। গ্রমাবাসীদের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বাঁধ তৈরির জেরেই এই বিপত্তি ঘটেছে।

Bhutni embankment collapse: কয়েক মাস আগেই কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছিল এই বাঁধটি। গ্রমাবাসীদের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বাঁধ তৈরির জেরেই এই বিপত্তি ঘটেছে।

author-image
Madhumita Dey
New Update
13 August 2025, Bhutni embankment collapse, Ganga river water surge, flood, river erosion, Malda, West Bengal, disaster, affected villages, rescue operation, property damage, heavy rainfall, embankment breach,১৩ অগাস্ট ২০২৫, ভূতনি বাঁধ ভেঙে পড়া, গঙ্গার জলের তোড়, বন্যা, নদীভাঙন, মালদা, পশ্চিমবঙ্গ, দুর্যোগ, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম, উদ্ধার অভিযান, সম্পত্তি ক্ষতি, ভারী বৃষ্টি, বাঁধ ভেঙে যাওয়া

embankment collapse: নদীর জলের তোড়ে ভেঙে গেল বাঁধ।

embankment breach:অবশেষে আশঙ্কায় সত্যি হল! কোটি কোটি টাকায় সদ্য তৈরি ভূতনি বাঁধ গঙ্গার জলের তোড়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল। বুধবার সকালে ৬টায় ভূতনি থানার দক্ষিণ চণ্ডীপুর এলাকায় বাঁধ ভেঙে গঙ্গা নদীর জল হু হু করে একাধিক গ্রামে ঢুকতে করতে শুরু করেছে। যার ফলে অসংখ্য মানুষ ঘরবাড়ির থেকে আসবাবপত্র নিয়ে কোনও রকমে পালাবার চেষ্টা চালিয়েছে।

Advertisment

স্থানীয় গ্রামবাসী থেকে স্থানীয়  বিরোধীদলের নেতাদের অভিযোগ, মাস কয়েক আগেই প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভূতনি বাঁধ তৈরি করেছিল সেচ দপ্তরের অধীনস্ত একটি ঠিকাদারি সংস্থা। আর সেই বাঁধ চোখের সামনে গঙ্গার জলের স্রোতে ভেঙে দুই টুকরো হয়ে গেল। এতেই বোঝা যাচ্ছে এই বাঁধ তৈরির কাজে কতটা আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। এই বাঁধ তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। 

উল্লেখ্য, বর্ষার মরশুম শুরু হতেই ভূতনি থানার দক্ষিণ চন্ডিপুরের কালুটোনটোলা, বসন্তটোলা, কেশরপুর সহ একাধিক এলাকা গঙ্গার জলে প্লাবিত হয়েছে। সেইসব গ্রামের অসংখ্য মানুষেরা এই ভুতনি বাঁধে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন। কিন্তু বর্ষার মরশুমের আগেই রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরের বরাদ্দ প্রায় দশ কোটি টাকায় দেয় ১,৬০০ মিটার বাঁধ তৈরির কাজ করে একটি ঠিকাদারি সংস্থা। কিন্তু সেই কাজেই সম্পূর্ণভাবে অনিয়ম হয়েছে এবং সরকারি অর্থ তছরূপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন মহলের। 

Advertisment

আরও পড়ুন- IIT:স্বাধীনতার পরেই উচ্চশিক্ষা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বৃহত্তর ভাবনা, ফিরে দেখা IIT-র 'গর্বের যাত্রা'!

সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, আমাদের আশঙ্কা ছিল ভূতনির বাঁধ তৈরি নিয়ে যথেষ্ট ভাবে দুর্নীতি করা হয়েছে। আর সেই আশঙ্কায় সত্যি হলো। মাত্র কয়েক মাসের তৈরি বাঁধ এদিন সকালে গঙ্গার জলের স্রোতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে যায়। ধীরে ধীরে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ যাবে কোথায় । এজন্য দায়ী প্রশাসন। কারণ যেসব ঠিকাদারি সংস্থা কোটি কোটি টাকার বাঁধের কাজ করেছে তারা সরকারি অর্থ তছরূপ করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রয়োজন হলে ঠিকাদারদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন চালানো হবে। 

আরও পড়ুন-Mithun Chakraborty On pakistan: '১৪০ কোটির প্রস্রাব... সুনামিতে ভেসে যাবে', পাকিস্তানকে তীব্র কটাক্ষ অভিনেতা মিঠুনের

যদিও ঠিকাদারের পক্ষ থেকে কিছু কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিকল্পনা করে ভুতনির বাঁধের একটি অংশ কাটা হয়েছে। এই বাঁধ ভাঙতে পারে না। আমাদের বাঁধের ওপর নজরদারি ছিল। মঙ্গলবার বাঁধের পরিস্থিতি ঠিকঠাক ছিল। হঠাৎ করে বুধবার ভোর থেকেই বাঁধের প্রায় ৩০ মিটার একটি বড় অংশ দিয়ে জল ঢুকতে শুরু করেছে। আমাদের সম্পূর্ণভাবে ধারণা বাঁধ ভাঙ্গে নি। পরিকল্পনা করে এদিকে দুষ্কৃতীরা কেটে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

আরও পড়ুন-West Bengal News Live Updates: স্বাধীনতা দিবসের আগে বিরাট নাশকতার ছক, অপরেশন সিন্দুরেও শিক্ষা হয়নি পাকিস্তানের!

যদিও দক্ষিণ চন্ডিপুর গ্রামবাসীদের দাবি, যখনই বাঁধের কাজ তৈরি হচ্ছিল, তখন থেকে আমরা ঠিকাদারি সংস্থাকে বলেছিলাম এটা সঠিক কাজ হচ্ছে না। কাজের যথেষ্ট অনিয়ম হচ্ছে। কিন্তু ওরা শুনি নি। যার ফল আজকে সাধারণ মানুষকে ভুক্ত হচ্ছে। সেদিন সকালেই গঙ্গা নদীর বাঁধ ভেঙেছে। হু হু করে একের পর এক গ্রাম জল ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে। মালদার জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, ঘটনাটি শুনেই আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। পাশাপাশি সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

Malda River Bengali News Today