/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/26/wTh0Uq8BCQilsoytjfK5.jpg)
প্রতীকী ছবি
Delhi labourer death: দিল্লিতে কাজে গিয়ে রাজমিস্ত্রি শ্রমিকের মৃত্যু, দেহ আনার আগে টাকার দাবির অভিযোগে ক্ষোভ।
আরও পড়ুন- পারমাণবিক পরীক্ষা চালাবে আমেরিকাও? ট্রাম্পের হুঙ্কারে তোলপাড় বিশ্ব
দিল্লিতে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়ে মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের এক শ্রমিকের। মৃতের নাম সামসুদ্দিন মোমিন (৫৩)। তার বাড়ি সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ান পৌরসভার লক্ষীনগর ২ নম্বর ওয়ার্ডে। শনিবার দিল্লিতে কাজের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সোমবার সকালে বিশেষ গাড়িতে করে সামসুদ্দিনের মৃতদেহ আনা হয় তার বাড়িতে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে কাজের খোঁজে দিল্লি গিয়েছিলেন সামসুদ্দিন। সেখানে একটি নির্মাণ সংস্থায় রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, দিল্লিতে যাওয়ার আগে ঠিকাদার নুর ইসলাম ওরফে পুটু তাকে জোরপূর্বক কাজে নিয়ে যায়। এমনকি যাওয়ার আগে তাকে মারধরও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার।
আরও পড়ুন- আপনার পরিবারের দাবিহীন টাকা কি ব্যাংকে এখনও পড়ে রয়েছে? জানবেন কীভাবে?
সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ, সামসুদ্দিনের মৃত্যুর পরও ঠিকাদার নুর ইসলাম নাকি তার পরিবারের কাছ থেকে দেহ আনার আগে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন। অভিযোগ, টাকা না দিলে মৃতদেহ পাঠানো হবে না—এমন হুমকিও দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর ধুলিয়ান এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসনের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদার নুর ইসলাম। 
তিনি বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি কোনও টাকা দাবি করিনি। বরং সামসুদ্দিন কাজে যাওয়ার আগেই অগ্রিম প্রায় ২০ হাজার টাকা নিয়েছিল।” যদিও পরিবারের দাবি, তারা ওই বিষয়ে অবগত ছিলেন না। তাদের বক্তব্য, সামসুদ্দিন কেবল ৪ হাজার টাকা নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে চাকদায় ইডির বড়সড় অভিযান, আটক ৩
পরিবারের সদস্যরা বলেন, “একজন মানুষের মৃত্যুর পরও যদি তার দেহ আনার আগে টাকা দাবি করা হয়, তা মানবিকতার পরিপন্থী।” স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এলাকাবাসীর দাবি, দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে মৃত শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
 Follow Us