দিল্লির বাতাসে 'বিষ'!AQI ৪০০ পার, দীপাবলিতেই চরম উৎকন্ঠা

প্রতি বছরের পর দীপাবলির মরশুমে ফের বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। সোমবার, ২০ অক্টোবর —টানা সপ্তম দিনের মতো জাতীয় রাজধানীতে বায়ুর মান 'বিপজ্জনক' স্তরে পৌঁছেছে।

প্রতি বছরের পর দীপাবলির মরশুমে ফের বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। সোমবার, ২০ অক্টোবর —টানা সপ্তম দিনের মতো জাতীয় রাজধানীতে বায়ুর মান 'বিপজ্জনক' স্তরে পৌঁছেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
delhi-toxic-air-diwali-green-firecracker-supreme-court-2025

বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস

প্রতি বছরের পর দীপাবলির মরশুমে ফের বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। সোমবার, ২০ অক্টোবর —টানা সপ্তম দিনের মতো জাতীয় রাজধানীতে বায়ুর মান 'বিপজ্জনক' স্তরে পৌঁছেছে। সকালে বায়ুর  মান সূচক (AQI) ৪০০-এরও বেশি রেকর্ড করা হয়েছে, যা “গুরুতর” বা Severe বিভাগের অন্তর্গত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই মাত্রার বাতাসে দীর্ঘক্ষণ শ্বাস নেওয়া শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর।

Advertisment

আরও পড়ুন- সেনাদের সঙ্গে দিওয়ালি সেলিব্রেশন মোদীর, আত্মনির্ভর ভারতের পক্ষে জোরালো সওয়াল

এর পাশাপাশি, দিল্লির যমুনা নদীতেও দেখা গেছে 'বিষাক্ত ফেনার' ঘন স্তর। রবিবার ও  সোমবার কালিন্দী কুঞ্জ এলাকায় নদীর পৃষ্ঠে সাদা ফেনার বিশাল আস্তরণ ভেসে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বছর ছট উৎসবের আগে এই ফেনা তৈরি হয়, যা নদীর জলকে দূষিত করে এবং আশপাশে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিল্প বর্জ্য এবং অপরিশোধিত নর্দমার জল সরাসরি যমুনায় মিশে যাওয়ায় এই ফেনার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে থাকা ডিটারজেন্ট, ফসফেট ও অ্যামোনিয়ার মতো রাসায়নিক পদার্থ জলকে বিষাক্ত করে তুলছে।

Advertisment

দূষণ রোধে এবার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, শুধুমাত্র (NEERI) কর্তৃক অনুমোদিত ‘সবুজ আতশবাজি’ দিল্লি-এনসিআর এলাকায় বিক্রি ও ব্যবহার করা যাবে। এই পরিবেশবান্ধব বাজিগুলি প্রচলিত আতশবাজির তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম দূষণ ছড়ায় এবং এতে সালফার বা ভারী ধাতুর মতো ক্ষতিকর উপাদান নেই।

আরও পড়ুন- আলোয় 'স্নান' রামনগরীর, দীপোৎসবে জ্বলল ২৬ লক্ষ প্রদীপ, সৃষ্টি হল ইতিহাস

সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, প্রতিটি সবুজ আতশবাজিতে QR কোড থাকা বাধ্যতামূলক, যাতে এর সত্যতা যাচাই করা যায়। QR কোডবিহীন বাজি বিক্রি বা পোড়ালে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সবুজ বাজি বিক্রি ও ফাটানোর অনুমতি থাকবে। দীপাবলির দিনে সকাল ৬টা থেকে ৭টা এবং রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে।

তবে যেসব এলাকার বায়ু মান সূচক ইতিমধ্যেই ‘গুরুতর’ স্তরে রয়েছে, সেখানে স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনে বাজি বিক্রি ও পোড়ানো উভয়ই নিষিদ্ধ করতে পারবে।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। শহরে মোট ১৬৮টি অস্থায়ী লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র NEERI অনুমোদিত ও PESO (পেট্রোলিয়াম এবং বিস্ফোরক সুরক্ষা সংস্থা) দ্বারা প্রত্যয়িত বাজি বিক্রির জন্য। পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। দীপাবলির পর দুই দিনের মধ্যে অবিক্রীত বাজি ফেরত বা নিরাপদে নিষ্ক্রিয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়ম না মানলে দোকানদারদের লাইসেন্স সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা হবে।

আরও পড়ুন-কালীপুজোর সকালে ডাকাবুকো তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের চেষ্টা, বন্দুকের বাঁটে ফাটল মাথা

Diwali delhi