Dilip Ghosh Marriage: শুক্রবার সন্ধেয় বিয়ে সেরেছেন BJP নেতা দিলীপ ঘোষ। বিয়ের পরের দিন অর্থাৎ আজ ১৯ এপ্রিল দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। সেই জন্মদিন তিনি পালন করলেন ইকো পার্কে কেক কেটে, পায়েস খাইয়ে। স্বভাবতই বিয়ে নিয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্ন ধেয়ে এসেছিল তাঁর দিকেষ স্ত্রী রিঙ্কুর সঙ্গে তাঁর প্রথম আলাপ ইকো পার্কেই? একথারও স্পষ্ট উত্তর দিলেন সদ্য গৃহস্থ জীবনে পা রাখা দিলীপ। তবে বাদ গেল না মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার প্রসঙ্গও। স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই ফের একবার দিলীপ ঘোষের নিশানায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে আলাপ প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "এখানে ওঁর (স্ত্রী) সঙ্গে প্রথম আলাপ হয়নি। ও আমার চেয়েও পুরোন পার্টিকর্মী। উনি '১২ সালে রাজনীতিতে এসেছিলেন। আমি এসেছ '১৫ সালে। অনেকে ভাবছেন ইকো পার্কে হাঁটলেই বিয়ে হয়...সারাজীবন হাঁটলেও বিয়ে হবে না। বিয়ে যখন হওয়ার তখনই হবে। পরিস্থিতির সঙ্গে পাল্টাতে হবে।"
আজ তাঁর জন্মদিন। বাড়িতে কেক না কেটে ইকো পার্কে কেন? এপ্রসঙ্গে BJP নেতার সাফ উত্তর, ""দুপুর অবধি জন্মদিন পালন হয়ে যাবে। লোকেরা বড়-বড় হল নিয়ে স্টেডিয়াম নিয়েও জন্মদিন পালন করে। আমি খোলা মাঠে করি। লোকে রাতে কেক কাটে। আমি ভোর ৬টায় কেক কাটলাম। এই জন্য বুঝে নিতে হবে দিলীপ ঘোষ, দিলীপ ঘোষ।"
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh Wedding: মন দেওয়া-নেওয়ার শুরুটা কীভাবে? এই প্রথম মুখ খুললেন দিলীপ-রিঙ্কু
এরই পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়েও ফের একবার চাঁচাছোলা ভাষায় দিলীপ ঘোষ শনিবার আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর প্রশাসনকে। তিনি বলেন, "এতদিন কাশ্মীর থেকে হিন্দুরা উদ্বাস্তু হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ত। এখন এরাজ্যের মধ্যেই এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাচ্ছেন....এরপর অন্য রাজ্যেও হয়তো চলে যাবেন। যদি সুরক্ষা না থাকে মানুষ কী করবে? মমতা ব্যানার্জি উল্টোদিকে গিয়ে ইমামদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন। আর এই ইমামরাই যাদের তাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ নেই তাঁর কাছে। তাঁদের প্রতি তাঁর কোনও সমবেদনাই নেই।"
আরও পড়ুন- Kolkata Weather Today: শনিবার তুফানি দুর্যোগ রাজ্যে? ঝড়-জলের দাপট সবচেয়ে বেশি হতে পারে কোথায়?
দিলীপ ঘোষের কথায়, "যেদিন গন্ডগোল শুরু হয়, আমি মালদা থেকে আসছিলাম। আমাকে পুলিশ আটকে একটা গেস্ট হাউসে বসিয়ে রাখে। রাত সাড়ে ৯টার পর আমি বেড়িয়েছি। ওই দিন বিকেল চারটের পর থেকে ধুলিয়ান, সাজুর মোড়, সামশেরগঞ্জ সব জায়গা থেকে ফোন এসেছে। BSF-কে পাঠাতে বলছিলেন ওরা। আমি BSF-এর DG-কে ফোন করলাম। উনি বললেন আমি ফোর্স পাঠাচ্ছি। ৬টার পরেই বিএসএফ ফোর্স পাঠায়। মমতা ব্যানার্জি প্রথমে কোনও পদক্ষেপই করেননি। পরের দিন শুভেন্দু অধিকারীকে কোর্টে যেতে হয়। তারপর BSF সব জায়গায় যায়। মুসলিম জেহাদিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তায়। লুঠপাট করে খাও। ওই বাপ-ব্যাটাকে কীভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে...আমরা দেখেছি। সিরিয়ায়, আফগানিস্তান, পাকিস্তানেও এমনটা হয় না।"
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh Wedding: 'ছেলেকে নিয়ে ইডেনে খেলা দেখেছেন দিলীপ, আমাদের বিয়েতে ও খুব খুশি', বললেন রিঙ্কু