/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/30/4PNQtCFutZPKI9zwbgrr.jpg)
Digha Jagannath Temple: দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেতে পারেন দিলীপ ঘোষ।
Digha Jagannath Temple:সময় পেলে তিনিও দিঘায় (Digha) নবনির্বিত জগন্নাথ দেবের মন্দিরে (Jagannath Temple) যাবেন বলে জানিয়ে দিলেন BJP নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আজ অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘায় জগন্নাথ দেবের মন্দিরের শুভ উদ্বোধন। রাজ্যের তরফে তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি ছাড়াও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি অন্যান্য দলের নেতা-নেত্রীদেরও দিঘার মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দিঘায় তৈরি হয়েছে জগন্নাথ দেবের মন্দির। মন্দিরের উদ্বোধনের আগেই সৌজন্য রক্ষায় বিরোধী দলের একাধিক নেতা-নেত্রীকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষের কাছেও পৌঁছেছে সেই আমন্ত্রণপত্র। দিঘার মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি যাবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আনন্দের কথা ভগবান জগন্নাথ আসছেন। আমার মনে হয় এর পর TMC-এর লোকেরা 'জয় বাংলা' না বলে 'জয় জগন্নাথ' বলবে। আমারও ইচ্ছে আছে। কিন্তু আমার আগে থেকে প্রোগ্রাম ঠিক আছে। সেগুলো কখন শেষ হয় দেখি। দু'জনকে আলাদা কার্ড দিয়েছে ওরা। কার্টসির ব্যাপার আছে, সরকার ডেকেছে। কিন্তু সব সরকারি প্রোগ্রামে তো যাই না। যদি সময় পাই জগন্নাথ দর্শন করতে যাব।"
এরই পাশাপাশি কলকাতার বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টির কাছে হোটেলের অগ্নিকাণ্ড নিয়েও মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। ঋতুরাজ হোটেলের অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ এদিন বলেছেন, "খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, এমনিতেই জ্যোতিষ মতে ২০২৫ সাল খুবই খারাপ সাল যাবে। দুর্ঘটনা, যুদ্ধ ইত্যাদি হবে। এগুলো অনেক জ্যোতিষী বলেছেন। এগুলো অপঘাত, মৃত্যু, দুর্ঘটনা। সেই জন্য সাবধানে থাকা উচিত। তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি। কিন্তু পশ্চিমবাংলায় এরকম আগুন লাগা নতুন নয়। সিপিএম আমলে বহু বাজার আগুন লেগে পুড়ে গেছে। মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ ছিল। আবার শুরু হয়েছে। এগুলো দুর্ঘটনা নাকি ঘটনা নাকি চক্রান্ত সেগুলো তদন্ত করে দেখা উচিত।"
বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়েও রাজ্যকেই দুষেছেন দিলীপ। বড়বাজারের মতো এলাকার হোটেলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কেন আগে থেকে পরীক্ষা করে দেখা হয়নি, সেই প্রস্ন তুলেছেন দিলীপ। তিনি বলেন, "নিঃসন্দেহে এটা সরকারের দায়। এই ধরনের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি, বছরের পর বছর বাজারগুলো এমন রয়েছে যেখানে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাই নেই। যেখানে দুনিয়ার জিনিস জমা করে রাখা হয়েছে। সব দাহ্য পদার্থ। একটা কিছু ঘটনা ঘটলেই বিশাল ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। আর সব পুরনো পুরনো বাজার তাতে কোনও রক্ষণাবেক্ষণ নেই, সুরক্ষা নেই। এই ঘটনা চলে কী করে! ফায়ার সার্টিফিকেট না নিয়ে কীভাবে চলতে পারে এই ধরনের ভয়ঙ্কর সমস্ত বাজার। কেউ দেখার নেই। পয়সা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে পুলিশ। এরকম চললে এরকম দুর্ঘটনা ঘটবে, এমন জীবনহানিও হবে। আজকাল নতুন যে বাজার হচ্ছে, হোটেল হচ্ছে সেখানেও পুরোপুরি বিধি মানা হচ্ছে না। আর কোথাও না কোথাও টাকা পয়সা দিয়ে হয়ে যাচ্ছে।"