New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/30/a5FDkj4wFLmSDumNhLGW.jpg)
'এটা বাংলাদেশ না পাকিস্তান'? মোথাবাড়ি কাণ্ডে গর্জে উঠে নবান্ন ঘেরাওয়ের ডাক দিলীপ ঘোষের
'এটা বাংলাদেশ না পাকিস্তান'? মোথাবাড়ি কাণ্ডে গর্জে উঠে নবান্ন ঘেরাওয়ের ডাক দিলীপ ঘোষের
Dilip Ghosh Mothabari Incident: ইদ,রাম নবমীতে অশান্তির ছক ফাঁস করল রাজ্য পুলিশ। সামনেই ইদ এবং তারপরই রামনবমী। এই দুই ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে নিয়ে সতর্ক পুলিশ। রামনবমীর দিন অশান্তির আশঙ্কা করেছে বঙ্গ বিজেপি। পাশাপাশি এক কোটি হিন্দুকে মাঠে নামার ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যাতে কোন রকমের অশান্তি না ছড়ায় তার জন্য তৎপর রাজ্য। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম এবং এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার জানিয়ে দিয়েছেন যে কোন ধরণের অশান্তি রুখতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। পাশাপাশি জনসাধারণকে কোন প্ররোচনায় পা দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে। রবিবার সকালে নিউটাউন ইকো পার্কে প্রাতঃ ভ্রমণে এসে বিজেপি নেতা তথা রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ রামনবমীর দিনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি কীভাবে এড়ানো সম্ভব নেই নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "উত্তেজনা তৈরি হয়ে গেছে। সেটা হিন্দুরা তৈরি করছে না। মালদা,মুর্শিদাবাদে হচ্ছে। মেদিনীপুর টাউনে শুরু হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দুদের ভয় দেখিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। শোভা যাত্রায় আক্রমণ হয়। এবার আগে থেকে তৃণমূল এটা করাছে যাতে হিন্দুরা একত্রিত না হয়। ভোট দিতে না বেরোয়। তাহলে ওদের ভোট বাড়বে। সরকরের এটা দেখা উচিত। নইলে উত্তেজনা বাড়বে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে"।
গত বুধবার থেকে শুক্রবার, তিন দিন ধরে মালদার মোথাবাড়িতে অশান্তি ও গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ৬১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে এখনও পর্যন্ত ১৯টি মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম বলেন, ‘ঘটনা সামনে আসতেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।’ মোথাবাড়িতে সুকান্ত মুজমদারের যাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, সুকান্ত বাবু গেছেন আমিও যাব। ডিএম অফিস ঘেরাও করব। যেখানে হিন্দুরা সংখ্যালঘু সেখানে তাদের উপর অত্যাচার করা হবে কেন? এটা বাংলাদেশ না পাকিস্তান? পশ্চিম বাংলায় এরকম শুরু হয়েছে৷ তার জন্যে যা করার দরকার আমরা করব। নবান্ন ঘেরাও করব"।
গতকাল কাঁথিতে সমবায় ভোট ঘিরে বিধায়ক অখিল গিরিকে মারধরের ঘটনা প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বলেন, স্কুলের নির্বাচন বা পুজো কমিটির নির্বাচন সব জায়গায় টিএমসি ওটাকে পোলেটিক্যাল এজেন্ডা বানিয়ে রাজনীতি করে। একজন মন্ত্রী তিনি গিয়ে গুন্ডামি করলে তাকে তো লাঠি পেটা করে বের করে দেওয়া উচিত। আর মুখে বলা হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র নেই। তোমরা (তৃণমূল) কাউকে গণতন্ত্র দিয়েছ এখানে?
ব্রিটেন সফর শেষ করে অবশেষ বাংলায় ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমান বন্দরে মুখ্যমন্ত্রীকে গতকাল সন্ধ্যায় স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন বিপূল সংখ্যক কর্মী সমর্থকরা। মুখ্যমন্ত্রীকে বিমান বন্দর থেকে বাইরে বেরোতে দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তাঁরা। বিমান বন্দর থেকে বাইরে বেরোনোর সময় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়তেও দেখা যায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে। দমদম বিমান বন্দর থেকে নেমেই সোজা গাড়িতে উঠে পড়েন। ২২ মার্চ কলকাতা থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি৷ সেখানে ঠাসা কর্মসূচী সেরে গতকাল সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ দুবাই হয়ে কলকাতা ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় ফেরার পরই কলকাতা থেকে লন্ডন সরাসরি বিমান চালুর বিষয়ে চলছে তোড়জোর। কেন এতদিন চালু হয়নি সেই প্রশ্নে সরব হন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন,' এতদিন চালু হয়নি কেন? লন্ডন থেকে কলকাতা ফ্লাইটে করে আসতে পারতেন। চালু হবে কেন, যদি পাসেঞ্জার না হয়? ওনার সরকার আছে ভুর্তকি দিয়ে করে দিচ্ছে। আগে ইন্ডাস্ট্রি ঠিক করুক"। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী লন্ডন সফর নিয়ে খোঁচা দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,"ওখানে কী হল সেটা দিদিমণিকে জানাতে বলুন৷ কেন আমাদের পয়সার শ্রাদ্ধ করছেন"?
আজই আর এস এস সদর দফতরে যাচ্ছেন মোদী। দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় পর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এই প্রথম RSS সদর দফতর যাচ্ছেন তিনি। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,"মোদী জি আরএসএস-এর প্রচারে নাগপুরে বহুবার গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার যাচ্ছেন। যেতেই পারেন। প্রনব বাবু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে ওখানে গেছেন। আরএসএস বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় স্বয়ং সেবক সংগঠন। তারা রাষ্ট্র নির্মানে কাজ করে যাচ্ছে। বিদেশি রাষ্ট্রদূতেরাও এসেছেন। এখান থেকে মোদী জির জীবন শুরু হয়েছে"। মুসলিম ভোট নিয়ে বিজেপির অন্দরেই কী দ্বিমত তৈরি হয়েছে? এই প্রশ্নে জবাবে বিজেপি নেতা বলেন,বাংলায় বা গোটা ভারত বর্ষে বিজেপিকে মুসলিম ভোট দেয় না। এটা পরিষ্কার কথা। আর আমরা কাউকে আলাদা করি না, তোষণও করি না। আমরা 'সবকা সাথ সবকা বিকাশের কথা বলি' সেই জন্যে আমরা এটা বলছি। তা বাদ দিয়েও আমরা জিতেছি। তিনবার কেন্দ্রীয় সরকার। অসমে অহিন্দু ৪০% তাও বিজেপি দু-বার সরকারে এসেছে। আমাদের মাথায় রাখতে হবে কাউকে তোষণ নয়"।