Dilip Ghosh-BJP-R S S: শুরুটা করেছিলেন R S S দিয়ে। অল্পদিনেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শীর্ষ নেতাদের যথেষ্ট আস্থার মুখ হয়ে উঠেছিলেন দিলীপ ঘোষ। এরপর আরএসএস থেকে সোজা BJP-র মূল স্রোতে ঢুকে পড়েন দিলীপ। পরের সময়টায় দাপটের সঙ্গে গেরুয়া রাজনীতিতে উত্থান শুরু তাঁর। একে একে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ পদ, দলের বিধায়ক, সাংসদ পদে উত্তোরণ হয় দিলীপের, মিলেছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদও।
আশির দশকের শুরুর দিকে আরএসএস-এর প্রচারক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর বাড়ি জঙ্গলমহলের গোপীবল্লভপুরে। সেখানেই আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রচারক হিসেবে কাজ শুরু করে দেন তিনি। অল্প দিনের মধ্যেই আরএসএস-এর শীর্ষ নেতাদের নেকনজরে পড়ে যান তিনি। তাঁদেরই সহচর্যে এসে আরও বেশি তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে তাঁর নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা।
রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় সংঘের কাজে ঘোরার পর তাঁকে আন্দামানেও যেতে হয়েছিল। সেখানে সংঘ পরিবারের সংগঠন বিস্তারের কাজ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তবে সেখান থেকে কলকাতায় ফিরে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। কিছুদিন হিন্দুত্ববাদী এই সংগঠনের সঙ্গে কাজ করার পর একেবারে বঙ্গ বিজেপিতে প্রবেশ দিলীপের।
২০১৫ সালে BJP তাঁকে দলের রাজ্য সভাপতি হিসেবে মনোনীত করে। এর ঠিক পরের বছরেই খড়গপুর থেকে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জয়ী হন তিনি। এর তিন বছরের মাথায় লোকসভা নির্বাচন হয় ২০১৯ সালে। ততদিনে বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপির প্রধান মুখ হয়ে উঠেছিলেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh:হঠাৎ দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছার বন্যা BJP-র তাবড় নেতা-নেত্রীদের, কারণ কী জানেন?
২০১৯ সালে বিজেপি তাঁকে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে লোকসভার টিকিট দেয়। দলের মুখ উজ্জ্বল করে মেদিনীপুর থেকে সেবার জয়ী হয়ে সংসদে যান দিলীপ ঘোষ।
সেই সময়ে মোদী-শাহদের অন্যতম আস্থাভাজন ঠিলেন দিলীপ ঘোষ। দল তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদও দেয়। তবে তালটা কাটতে শুরু করে তার বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর। বলা ভালো, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ স্তর দিলীপ ঘোষের দিক থেকে একটু একটু করে যেন মুখ ঘোরাতে শুরু করে। দলে প্রাসঙ্গিকতা কমতে থাকে দিলীপের।
আরও পড়ুন- Kolkata news live updates: SIR প্রত্যাহারের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর ঘেরাওয়ের ডাক, মমতার সিদ্ধান্তেই সিলমোহর ইন্ডিয়া জোটের
সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বড় কোনও কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে না দলের নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভও রয়েছে তাঁর মনে। বারবার দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন দিলীপ। কিছুদিন আগেই দিলীপ ঘোষের তৃণমূলে যোগদান করা নিয়েও তুমুল জল্পনা ছড়িয়েছিল। যদিও দিলীপ স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি বিজেপি ছেড়ে অন্য দলে নাম লেখাতে চান না। আজকের দিলীপ অবশ্য ঘোর সংসারী। দলে নিজের মতো করে কাজ করে চলেছেন তিনি। জেলায়-জেলায় ঘুরছেন, অনুগামীদের সঙ্গে চা-চক্রেও যোগ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন- Purba Bardhaman News:টিনের ট্রাঙ্ক খুলতেই বেরিয়ে এল 'রাজকুমার', ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চর্চা সীমা ছাড়িয়েছে
একটা সময় দিলীপ ঘোষ যখন রাজনীতির 'মধ্যগগনে' তখন তাঁর অন্যতম প্রধান সেনাপতি ছিলেন তৎকালীন রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। শোনা যায়, সায়ন্তনের সঙ্গে এখনও তাঁর নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। একইভাবে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দিলীপের সম্পর্ক মসৃণ।
১ আগস্ট দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। একদা বঙ্গে দলের প্রধান সেনাপতি দিলীপ ঘোষকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দু'জনেই। তাঁরা ছাড়াও দিলীপের অগণিত অনুগামী তাঁকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।