/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/13/Uoc6xMEgoCzh2xTC8VEa.jpg)
'পাপকে চাপা দেওয়ার চেষ্টাতেই'....! শিক্ষা দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে মুর্শিদাবাদ কাণ্ডে মমতাকে তুলোধোনা দিলীপের
Dilip Ghosh On Protest Aganist Waqf (Amendment) Act: রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ তোপ দেগেছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃ ভ্রমণে এসে রবিবার প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দাবি করেন,"এখন শিক্ষা বিভাগে যে দুর্নীতি হয়েছে সেই পাপকে চাপা দেওয়ার জন্য উগ্রপন্থীদের রাস্তায় নামিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে মুর্শিদাবাদে। পুলিশ সরে গিয়েছে রাজ্য সরকার চুপ করে গিয়েছে। বিএসএফ দুদিন ধরে নিয়ন্ত্রণ করছে। চারদিকে আগুন জ্বলছে মালদা, মুর্শিদাবাদে। কোর্টে যেতে হয়েছে আধাসেনার জন্য।"
মুর্শিদাবাদের হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যে পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, গুন্ডামি কোনও ভাবে বরদাস্ত করা হবে না। গুজব ছড়ালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। এদিকে ডিজিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষ বলেন, "ডিজি গল্প শোনাবার চেষ্টা করছেন। লজ্জা করে না। তাবেদারি করবেন, কারণ জেল থেকে বাঁচিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। বাড়িতে ঢুকে হিন্দুদের খুন করা হচ্ছে। উগ্রপন্থীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যত ইলেকশন আসবে তত বাড়বে। কারণ জঙ্গিদের ভোটে জিততে চায় মমতা বন্দোপাধ্যায়।"
শাসক বিধায়কের নিশানায় মমতার পুলিশ, মুর্শিদাবাদের ঘটনায় রাজ্যকেই তুলোধোনা
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নবান্ন অভিযানের সময় কপালে গুলি করা মন্তব্য নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "সিএএ আন্দোলনে তিন দিন ধরে আগুন জ্বলল এরাজ্যে। নবান্ন অভিযান করলে বলেছিলেন কপালে গুলি করতে হবে। তাহলে পেছনে গুলি মারুন মুর্শিদাবাদের উগ্রপন্থীদের। পশ্চিমবাংলাদেশ হয়ে গিয়েছে মুর্শিদাবাদ।"
বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহসভাপতির দাবি, "পুলিশে ব্যর্থতার কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হচ্ছে। প্রথম দিন নামানো উচিত ছিল। জেলা চলে গিয়েছে উগ্রপন্থীদের হাতে। ভয়ংকর পরিবেশ। গোটা দেশে ওয়াকফ আইন লাগু হয়েছে। কোথাও সমস্যা নেই।"
চাকরীহারা শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকরা কলকাতা জুড়ে প্রতিবাদ করছে। ১৮ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর জবাব দিতে হবে। আমরা চাকরি প্রার্থীদের পাশে আছি।"