Advertisment

Durga Puja: জগদ্ধাত্রী পুজোর মুখে ধুমধাম করে দুর্গাপুজো! নেপথ্যে অবাক কারণ! জানলে অবাক হবেন?

Durga Puja: জগদ্ধাত্রী পুজোর ষষ্ঠীর দিনেই ধুমধাম করে দুর্গাপুজোর আয়োজন রাজ্যের এই প্রান্তে। কালীপুজো, ভাইফোঁটা শেষে ফের একবার দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ গোটা এলাকায়।

author-image
Pradip Kumar Chattopadhyay
New Update
Durga Puja is again organized in Purbasthali of East Burdwan: পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে ফের দুর্গাপুজো

Durga Puja 2024: পূর্বস্থলীতে দুর্গাপুজোর আয়োজন।

Durga Puja: দেবীপক্ষে পুজো ঠিকঠাক হলেও বিসর্জনের সময় ঘটে গিয়েছিল অঘটন। আগুনের ফুলকিতে পুড়ে গিয়েছিল দেবী দুর্গা মায়ের পরণে থাকা শাড়ি ও মাথার চুল। তারপর থেকেই দেবী দুর্গা মায়ের রোষে পড়ার ভয়ে তটস্থ হয়ে ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর ঘূর্ণি গ্রামের বাসিন্দারা। দেবীর  রোষের হাত থেকে রক্ষা পেতে দীপাবলী (Diwali) শেষে পিতৃপক্ষে বৃহস্পতিবার ফের নিষ্ঠা সহকারে ঘূর্ণি গ্রামে হল দুর্গাপুজো (Durga Puja)। 

Advertisment

অন্যান্য বছরের মতো এবছরেও দেবী পক্ষে ধুমধাম করেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিল পূর্বস্থলী ২ ব্লকের মুকশিমপাড়া পঞ্চায়েত এলাকার ‘ঘূর্ণি সর্ব্বজনীন দুর্গোৎসব’ কমিটি। পুজো শেষে দ্বাদশীর দিন ছিল তাদের প্রতিমা বিসর্জন পর্ব। ওই দিনেই ঘটে যায় অঘটন। তার জেরেই দেবীর রোষে পড়ার ভয়ে তটস্থ হয়ে পড়েন ঘূর্ণি গ্রামের সকল বাসিন্দার। কী অঘটন ঘটেছিল? 

এর উত্তরে পুজো কমিটির সম্পাদক গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, “আগুনের  ফুলকি থেকে দেবী দুর্গা মায়ের পরণে থাকা শাড়ি ও দেবীর মাথার চুল পুড়ে যায়। তা দেখে ওই দিন গ্রামের অনেকেই চোখের জল ফেলেন। কান্নাকাটি শুরু করে দেন গ্রামের মেয়ে ও বধূরা। গ্রামের দেবী দুর্গা মা যেহেতু খুবই জাগ্রত তাই গ্রামের সবাই এই ঘটনা নিয়ে বিস্মিত হয়ে পড়েন। দেবীর রোষে পড়ার ভয় কাজ করতে শুরু করে সবার মনে। তাই দেবী দুর্গা মাকে প্রসন্ন করতে পণ্ডিত ও পুরোহিত মশাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ফের দুর্গাপুজো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।"  

আরও পড়ুন- Success Story: দুরন্ত প্রতিভায় শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে বাংলার তরুণ! অভূতপূর্ব কীর্তির ভূয়সী প্রশংসা

আরও পড়ুন- Small Business: সামান্য পুঁজিতেই ব্যবসা, অল্প দিনেই টানটান রোজগার! প্রৌঢ়ের বেনজির সাফল্যে অনুপ্রাণিত বহু বেকার

আরও পড়ুন- Abhishek Banerjee: পাখির চোখ ২০২৬! তৃণমূলে খোলনলচে বদল চান অভিষেক, প্রস্তাব পাঠিয়েছেন দলনেত্রীকে

বৃহস্পতিবারই হয় পুজো পাঠ। একদিনেই পুজো সম্পন্ন কার হয়। পুরোহিত সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য বলেন, "শাস্ত্রানুসারে বিঘ্ন-শান্তি প্রক্রিয়ায় সংক্ষিপ্ত আকারে এদিন দেবীর পুজো পাঠ হয়েছে। প্রতিমা আনা থেকে বিসর্জন করা পর্যন্ত যদি কোনও বিঘ্ন ঘটে তার জন্য বিঘ্ন-শান্তি করতে হয়। বৃহস্পতিবার ষষ্ঠীর পুজো শুরু করে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর পুজো সংক্ষিপ্ত আকারে করা হয়েছে। একদিনেই তিনবার পুজো-অর্চনা করা হয়েছে।” পুজো শেষে রাতেই হয় দেবীর বিসর্জন। 

burdwan Durgapuja Purba Bardhaman
Advertisment