Diwali 2024: দীপাবলি উপলক্ষে এবছর প্রদীপ তৈরি করার ক্ষেত্রে মাটির জোগান পর্যাপ্তভাবে না মেলায় সমস্যায় পড়েছেন পুরাতন মালদার কুমোরটুলি পালপাড়ার প্রস্তুতকারকেরা। এই পরিস্থিতিতে কালীপুজোর আগে রীতিমতো চড়া দাম দিয়েই প্রদীপ সহ নানা উপকরণ তৈরির জন্য মাটি কিনতে হচ্ছে প্রস্তুতকারকদের। এরই পাশাপাশি তাঁদের এই কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে প্রশাসন যাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় সেই দাবিও করেছেন পুরাতন মালদা পুরসভার পালপাড়া এলাকার অসংখ্য প্রদীপ তৈরির কারিগররা।
উল্লেখ্য, পুরাতন মালদা পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়া এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মৃৎশিল্পীদের পরিবার। দুর্গাপুজোর মরশুম শেষ হতেই এখন এইসব মৃৎশিল্পীর পরিবারেরা দীপাবলীর আগেই বিভিন্ন ধরনের প্রদীপ তৈরীর কাজে জোর দিয়েছেন। রাতদিন এক করে মাটির প্রদীপ তৈরীর কাজ করছেন পালপাড়া এলাকার অনেক কারিগরেরা। কিন্তু এবছর তাদের চড়া দাম দিয়েই প্রদীপ তৈরির জন্য মাটি কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। এর কারণ হিসেবে দেরি করে বর্ষার মরশুম যাওয়া ও বন্যা পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন মৃৎশিল্পীরা।
পুরাতন মালদা পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়া এলাকার দম্পতি শ্রীকান্ত পাল এবং স্বপ্না পাল দীর্ঘদিন ধরেই প্রদীপ সহ বিভিন্ন ধরনের মাটির সামগ্রী তৈরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, প্রতি বছর তারা দীপাবলি উৎসবের আগে পঞ্চ প্রদীপ, একমুখী প্রদীপ, ঘট, মাটির বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তাঁরা তৈরি করেন। এই পুজোর মরশুমে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মাটির প্রদীপ সহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে থাকেন। মালদা সহ আশপাশের জেলাগুলিতে তাঁদের হাতে তৈরি প্রদীপ সহ নানা সামগ্রী রফতানি করা হয়।
আরও পড়ুন- NQAS: শুভেন্দুরা যতই গালমন্দ করুন! খোদ মোদী সরকারের রিপোর্টই বলছে 'সেরার সেরা' বাংলা
আরও পড়ুন- Sealdah Division: শিয়ালদহ ডিভিশনে এবার লোকাল ট্রেন দাঁড়াবে মাত্র ৩০ সেকেন্ড? কী জানাল রেল?
মৃৎশিল্পী স্বপ্না পাল জানান, এবছর এঁটেল মাটি পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এঁটেল মাটি কিনতে গেলে কম করে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। যদিও ইতিমধ্যে তারা ২৫ থেকে ৩০ হাজার মাটির প্রদীপ তৈরি করে, তা বিক্রিও করে ফেলেছেন। দীপাবলির সময় যতই আধুনিক আলোকসজ্জা বাজারে আসুক না কেন, মাটির বিভিন্ন ধরনের প্রদীপের কদর যেভাবে বিগত দিনেও ছিল এখনও তা আছে।
তাঁর কথায়, "সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন উপকরণের দাম বাড়ছে। অথচ প্রদীপের দাম বাড়াতে গেলেই পাইকারদের কাছ থেকে সঠিক মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। এটাও একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে সাহায্যেরও আবেদন করছি আমরা।" পুরাতন মালদা পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ বলেন, "রাজ্য সরকার এসব কুটির শিল্পকে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এজন্যই তৈরি হয়েছে দুয়ারে সরকার। এই ধরনের শিল্পীদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে প্রশাসন সবসময় পাশে রয়েছে।"