Durga idol was not abandoned due to fear of temple demolition: মহালয়ার পর দেবীপক্ষে স্বপরিবারে মর্তলোকে আবির্ভূতা হয়েছিলেন দেবী দুর্গা। বাংলার অন্যান্য জায়গার মতোই জঙ্গল আবৃত পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের সুকান্তপল্লী গ্রামের মন্দিরে ঘটা করে দেবী দশভূজার পুজোপাঠও হয়েছিল। কিন্তু দেবী যেন
এখানে এসে বড় বেকায়দায় পড়ে গিয়েছেন। বন দফতরের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে পুজো উদ্যোক্তারা আজ অবধি দেবীকে কৈলাশে যেতেই দেননি। তাই বিজয়া দশমীর পর থেকে দেড় মাস কাটতে চললেও দুই পুত্র গণেশ ও কার্তিক এবং দুই কন্যা লক্ষ্মী ও সরস্বতীকে নিয়ে দেবী দুর্গা মাতা সুকান্তপল্লীর মন্দিরেই আটকা পড়ে রয়েছেন। তাঁদের নিত্যসেবায় ছেদ পড়েনি। তবে আউশগ্রামের মন্দির থেকে দেবীর কৈলাশে প্রত্যাবর্তন নিয়ে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা কবে কাটবে, তার উত্তর এখনও অধরা।
নবনির্মিত দুর্গা মন্দির সুরক্ষিত রাখতেই স্বপরিবার দেবী দুর্গাকে মন্দিরে 'আটকে রাখা' বলে জানা গিয়েছে। মন্দিরের সুরক্ষা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা তৈরি হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে সুকান্তপল্লীর পুজো উদ্যোক্তারা জানান, প্রায় ১৪ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনদপ্তরের অধীনে জায়গাতে তাঁরা দুর্গাপুজো করে আসছেন। ওই জায়গায় চার বছর আগে একটি পাকা মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয় । এ বছর দুর্গাপুজোর আগে মন্দিরের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়। মন্দিরটি সরকারি জায়গায় হলেও তার বেনিফিশিয়ারি কমিটি মারফত বনদপ্তরের সাথে কমিটির একটি রেজিলিউশন হয়। সেই রেজিলউশন অনুযায়ী ঠিক হয়েছে, বনদপ্তরের থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে তাঁরা দুর্গা মন্দির তৈরি করবেন।
পুজো উদ্যোক্তাদের কথা অনুযায়ী, এখন বাইরের কিছু ব্যক্তির অঙ্গুলিহেলনে বনদপ্তর কর্তৃপক্ষ তাদের মন্দির নির্মাণের কাজ পুরোপুরি বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি দিয়েছে। তাই দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। মন্দির ভেঙে ফেলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় এবছর দুর্গা প্রতিমার নিরঞ্জন না করে এখনও দেবী দশভুজাকে মন্দিরেই রাখা রয়েছে। দেবীর নিত্যসেবা ও পুজোপাঠও চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- Strange News: গ্রামের পর গ্রামে একই দিনে বাড়ি-বাড়ি 'বিয়ে'! অবাক-কাণ্ডের নেপথ্যের গল্পটি জানেন?
আরও পড়ুন- Purba Bardhaman News: এডিট করে অশ্লীল ছবি ভাইরালের হুমকি, বাবাকে মারধর, অপমানে আত্মঘাতী নাবালিকা
এ ব্যাপারে জেলার বনাধিকারিক (ডিএফও) সঞ্চিতা শর্মা বলেন, "মন্দির নির্মাণ নিয়ে আগে একটা রেজিলউশন হয়েছিল। তবে ওই রেজিলিউশনের বহু লোক বিপক্ষে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে অনেক কমপ্লেনও আসে। এসব কারণে মন্দিরের পরবর্তী নির্মাণ কাজ এখন স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। সব পক্ষের সন্মতি না মিললে বন দফতরের জায়গায় কোনও নির্মাণ হলে তা অবৈধ নির্মাণ বলে গণ্য হবে। আমারা চাইছি, জটিলতার নিস্পত্তির জন্য সব পক্ষের সন্মতিতে একটা রেজিলিউশন হোক। পুজো উদ্যোক্তারা প্রতিমা নিরঞ্জন করতেই পারেন। নিরঞ্জন নিয়ে আমাদের আপত্তি করার কিছু নেই।"