Durga Puja 2024-Ramkrishana Mission Kaikhali: সুন্দরবনের গ্রাম্য পরিবেশে এক দিকে দুর্গা-দর্শন আর অন্যদিকে বাঘ দেখা। যেন রথ দেখার সঙ্গে কলাবেচা! সবই মিলবে সুন্দরবনের কুলতলিতে। কৈখালি রামকৃষ্ণ আশ্রমের প্রাচীন দুর্গাপুজো (Durga Puja) দেখতে প্রতিবারই ভিড় উপচে পড়ে। পুজোর দিনগুলিতে কৈখালী লজে তিল ধারনের জায়গা থাকে না। দুর্গাপুজো দেখেই সুন্দরবন ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন পর্যটকের দল। নবমীর দিন সাত-আটটি মাছের পদ নিবেদন করা হয় মা দুর্গাকে। এছাড়া অষ্টমীর দিন খিচুড়ি ভোগ খাওয়ানোর বন্দোবস্ত থাকে।
নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রম পরিচালিত কুলতলির কৈখালি রামকৃষ্ণ আশ্রম মন্দির। স্বামী বুধানন্দজী মহারাজ এই মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন। তিনিই এখানে দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন। আশ্রমের সদস্য কানাই নস্কর জানান, ষষ্ঠীতে বোধন দিয়ে শুরু হয়ে যায় পুজো। তিনজন ব্রাহ্মণ চণ্ডীপাঠ করেন। বেলুড় মঠের নিয়ম রীতি নিয়ম মেনে এই আশ্রমের মন্দিরে দুর্গা পুজো হয়ে আসছে। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় লাউ, ফল বলি হলেও ছাগ বলি হয় না।
নবমীর দিন সাত-আট রকমের মাছের পদের পাশাপাশি, ডাল সঙ্গে সাত রকম ভাজা, শুক্তো, পায়েস মাকে নিবেদন করা হয়। যারা এই পুজোর কাজে সহযোগিতা করেন তাঁদেরকেও ভোগ খাওয়ানো হয়। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে মন্দিরের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে আসছেন মৃৎশিল্পী মনোরঞ্জন নস্কর।"
আরও পড়ুন- Junior Doctors Protest: আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি জুনিয়র ডাক্তারদের! সরকারের রক্তচাপ বাড়িয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার
আরও পড়ুন- Durga Puja 2024: গম্ভীরা গান থেকে পুতুল নাচ, মালদার পুজোয় এবারেও চমকের ছড়াছড়ি!
আরও পড়ুন- Durga Puja 2024: অভাবনীয় দক্ষতায় অভূতপূর্ব সৃষ্টি! মা দুর্গার মূর্তি গড়ে গিনেসবুকে নাম তুলতে চান জয়মাল্য
কৈখালিতে ভিড় জমান কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন। কৈখালি ঘাটে থাকে লঞ্চ। পর্যটকদের দল পুজো দেখার পাশাপাশি লঞ্চে চেপে ছোটেন ঝড়খালি, কলস ক্যাম্পে, বনি ক্যাম্পে বাঘ দেখার জন্য। পুজোর চারদিন ভিড়ে গমগম করে মাতলা নদীর ধারে কৈখালী (Kaikhali)। নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রমের (Ramkrishna Ashram) নিজস্ব কৈখালি লজে রাত কাটায় পর্যটকদের (Tourist) দল। আশ্রমের সদস্য কানাই নস্কর বলেন, "সাধারণ সময়ে যে ভিড় থাকে তার থেকে দ্বিগুণ ভিড় হয় পুজোর সময়। মন্দিরে দুর্গা পুজোয় অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয় পর্যটকদের জন্য।"