eastern railways decision to demolish Chandmari rail overbridge at Howrah station: হাওড়া স্টেশনে ঢোকার মুখে প্রায় ১০০ বছরের পুরনো ব্রিজ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। হাওড়ায় পুরনো চাঁদমারি রোড ওভারব্রিজ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্বরেল। চাঁদমারি রোড ওভারব্রিজের বদলে সেখানে নতুন চার লেনের কেবল স্টেট রোড ওভারব্রিজ তৈরি করবে রেল। ২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে ওই সেতু তৈরির কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
হাওড়া স্টেশনে ঢোকার মুখে এই ব্রিজটি বাকল্যান্ড ব্রিজ বা চাঁদমারি ব্রিজ নামে বেশি পরিচিত। ৯১ বছর ধরে হাওড়ার ঐতিহাসিক অতীতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই রেলব্রিজ। বাকল্যান্ড ব্রিজটি ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ১৯৩৩ সালে হাওড়া স্টেশনের কাছে তৈরি করেছিল। সরকারি নাম ‘বাকল্যান্ড ব্রিজ’ হলেও এই সেতুটি বিভিন্ন নামে পরিচিত। কেউ কেউ একে বলেন 'চাঁদমারি ব্রিজ', কেউ বলেন 'বাঙালবাবুর ব্রিজ'।
জানা যায়, বাঙালবাবুর পরিবারের সদস্য শ্রী বাবু রামজতন বসু একটি কাঠের সেতু তৈরি করেছিলেন। ব্যবসার জন্য ১৮৬৩ সালে সালে ঢাকা থেকে হাওড়ায় চলে এসেছিলেন বাঙালবাবুর পরিবার। রামরতন ও রাজলোচনের দুই পুত্রের মধ্যে রামরতন বসুকে তৎকালীন ঔপনিবেশিক সরকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন। বাঙাল বাবুর পরিবার অত্যন্ত প্রভাবশালী হয়ে ওঠে এবং জমিদারি অধিগ্রহণ করে। তারা ব্যবসার সুবিধার জন্য হাওড়ায় একটি বাজারও তৈরি করে। যা বাঙাল বাবু মার্কেট নামে পরিচিত। সেই সঙ্গে বাজারে আসা-যাওয়ার জন্য রেলওয়ে ট্র্যাকের উপর একটি কাঠের সেতুও তৈরি করেছিল বাঙালবাবুর পরিবার। সেটিই বাঙালবাবু ব্রিজ নামে পরিচিতি পায়।
সময়ের সাথে সাথে বাঙালবাবু সেতু নামে পরিচিত কাঠের সেতুটি ১৯৩৩ সালে হাওড়া স্টেশন ইয়ার্ডের বিস্তীর্ণ জুড়ে একটি রোড ওভারব্রিজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। একটি কংক্রিটের সেতু তৈরি হয়। ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানি তার নাম পরিবর্তন করে ইস্টার্ন রেলওয়ে রাখার পর এই সেতুটি চাঁদমারি ব্রিজ নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আজও এই এলাকায় বসবাসকারী বা রেলওয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট লোকজন এই সেতুটিকে চাঁদমারী সেতু হিসেবেই উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন- Kuntal Ghosh: কলকাতা হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি কুন্তলের! ED-র মামলায় শর্তসাপেক্ষে মিলল জামিন
আরও পড়ুন- Kolkata Pollution: রাজধানী দিল্লির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে কলকাতা! মহানগরীর দূষণ নিয়ে উদ্বেগ এবার চরমে