Jamalpur Incident: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা নিয়ে বেলাগাম দুর্নীতি ও আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমে গর্জে উঠেছিলেন গোষ্ঠীর নেত্রী। তার 'বদলা' নিতে গোষ্ঠীর ওই নেত্রীর স্কুল শিক্ষক জামাইকে শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর অভিযোগ। অভিযোগপত্রে জাল সইয়ের অভিযোগও উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ চলে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বিডিও অফিসে। স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ আনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিডিও অউিশে চলে বিক্ষোভ।
যে শিক্ষকের নামে ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার করা মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর নাম শেখ নবিউল্লা। তিনি জামালপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জামালপুর বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। কেউ একজন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিডিও এবং ব্লকের স্কুল পরিদর্শকের (প্রাইমারি) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা করেন। সেই অভিযোগপত্রে স্কুলের বেশ কয়েকজন ছাত্রীর অবিভাবকের নাম করে সই ছিল। ওই অভিযোগ পত্রটি স্কুল পরিদর্শক জামালপুর বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুণ মাণ্ডিকে পাঠিয়ে রিপোর্ট তলব করেন। তখনই কার্যত স্তম্ভিত হয়ে যান শিক্ষক শেখ নবিউল্লা।
এদিকে সজ্জন এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয়টি সামনে আসায় অবিভাবকরাই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করেন। দেখা যায় অভিভাবকদের অনেকের সই জাল করে অভিযোগপত্র লেখা হয়েছে। অভিযোগ পত্রে লেখা অভিযোগ মিথ্যা এবং শিক্ষক শেখ নবিউল্লাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলে একটি চিঠি জামালপুর বালিকা বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা পাঠান বিডিও-র কাছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি ওঠে।
আরও পড়ুন- RG Kar Protest: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রবির রাত ফের 'দখলের ডাক', শিলিগুড়িতে 'ভোর দখল'
জামালপুরের বিডিও পার্থসারথী দে বলেন, “শিক্ষক শেখ নবিউল্লার নামে গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি অভিযোগ পত্র আমার কাছে জমা পড়ে। অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করে অনেক অবিভাবকের স্বাক্ষর করা একটি দরখাস্তও পেয়েছি। গোটা বিষয়টি এখন তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। কেউ যদি বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে থাকে তাহলে আমি আইন মাফিক ব্যবস্থা নেব।” ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুণ মাণ্ডি বলেন, "অভিযোগের সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের জন্য স্কুলে এসে পড়ুয়া ও তাঁদের বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমি এস আই ম্যাডামকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।" তবে অনেক চেষ্টা করেও এস আই অনিন্দিতা সাহার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন- Sandip Ghosh: ক্যানিংয়ে সন্দীপ ঘোষের বিরাট সাম্রাজ্যের হদিশ! প্রাসাদোপম বাংলো এখন জোর চর্চায়
তবে এক শিক্ষককে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্রকারী কারা? শিক্ষক শেখ নবিউল্লা বলেন, "আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। আমার শাশুড়ি মা মীরাতাজ বেগম স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে ৪-৫ বছর ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিকে সামনে রেখে তিনি জামালপুরের বহু মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে মিটিং-মিছিল সংঘটিত করেছেন। তার 'বদলা' নিতেই মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়। যদিও অবিভাবক ও স্কুলের ছাত্রীরাই সেই মিথ্যা অভিযোগের পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে।" মীরাতাজ বেগম বলেন, "স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও দুর্নীতি নিয়ে লড়াই এবার আরও জোরদার করব। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে ফের পথে নামব।"
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: মেট্রোযাত্রীদের জন্য বিরাট আনন্দের খবর! গর্বের মাইলফলক স্পর্শ পাতালরেলের