/indian-express-bangla/media/member_avatars/2024/12/31/2024-12-31t044624928z-img-20241202-wa00852.jpg )
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/25/4Aj2n1ncrMfK520h7Baj.jpg)
Fake Call Center Kolkata: নিউটাউনে ভুয়ো কল সেন্টারে হানা তদন্তকারীদের।
Fake Call Center Kolkata:কল সেন্টারের নামে চলছিল বড় ধরনের জালিয়াতি। চলছিল রমরমা কারবার। সোর্স মারফত খবর আসার পর বেশ কিছু দিন ধরেই সেদিকে নজর রাখছিল রাজ্য পুলিশের সাইবার ক্রাইম উইংস। জালিয়াতির বিষয়ে নিশ্চিত হতে বড় ধরনের অভিযান চলে নিউটাউনের দুটি কল সেন্টারে। বাজেয়াপ্ত করা জিনিসপত্র দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় পুলিশের।
নিউটাউনের দুটি কল সেন্টারে হানা রাজ্য সাইবার ক্রাইম উইংস-এর। দুটি কল সেন্টার থেকে ৬২টি ল্যাপটপ, ৪১টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছেন সাইবার ক্রাইম শাখার পুলিশকর্মীরা। এরই পাশাপাশি ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে তিনজন মহিলা রয়েছেন। জানা গিয়েছে, মূলত এই কল সেন্টারের মাধ্যমে বিদেশি নাগরিকদের সফ্টওয়্যার সাপোর্ট দেওয়ার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছিল।
পশ্চিমবঙ্গ সাইবার ক্রাইম উইংসের ডিআইজি অমিত রাঠোর বলেন, "সোর্স মারফত আমাদের কাছে তথ্য আসে ইন্টারন্যাশনাল ফেক কল সেন্টার চলছে। আমরা মনিটর করে দেখলাম। আমরা দুই জায়গায় রেড করেছি। গত ২৩ জানুয়ারি রাত থেকে রেইড হয়েছে। সম্ভবত বিদেশের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পড়েছে। হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা এদেশে এসেছে। বিদেশি নাগরিকদের সফ্টওয়্যার সাপোর্ট দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই ছিল এদের মূল উদ্দেশ্য।"
নিউটাউনের অ্যাক্সট্রা টাওয়ার ও অ্যাবাকাস টাওয়ারে রেইড করেছে সাইবার ক্রাইম উইংস। ডিআইডি অমিত রাঠোরের কথায়, "দৃষ্টি সলিউশন নামে একটি সংস্থা এই ফেক কল সেন্টার চালাচ্ছিল। আমরা এই অভিযানে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাঁদের কাছ থেকে ৬২টি ল্যাপটপ, ৪১টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছি। তাছাড়া রাউটার সহ অন্যান্য কমিউনিকেশন যন্ত্রপাতিও সিজ করেছি। ১ বছর ধরে এই জালিয়াতি কারবার চলছিল। এরা মূলত বিদেশি নাগরিকদের টার্গেট করত। তাদের সফ্টওয়্যার সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে মিসলিড করে ওদের কাছ থেকে পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছিল। এটা বড় মামলা। আর কী কী বিষয় আছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"