Garlic Price Hike: মাস কয়েক আগে জিরার দামও অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। পেঁয়াজের দাম মাঝেমধ্যেই নাগালের বাইরে যাচ্ছে। মোটের উপর বছরভর রান্নার অপিরহার্য্য কয়েকটি উপাদানের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির জেরে নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ক্রেতাদের একাংশ যেমন এই পরিস্থিতির জন্য বিঁধছেন কারবারিদের একাংশকে, তেমনই তাঁরাও দায় চাপাচ্ছেন অন্যের ঘাড়ে।
Garlic Price: শহর থেকে জেলা, সর্বত্র দাম বাড়ছে রসুনের। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ।
Garlic Price: কখনও আদা (Ginger) বা পেঁয়াজ (Onion), তা না হলে রসুন (Garlic)। রসুই ঘরের এই তিন প্রয়োজনীয় উপাদানের কোনও একটির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতে যাদের জুড়ি মেলা ভার নিত্যদিন সেই সব উপাদানেরই দাম বাড়ছে। কখনও আবার একসঙ্গে দু-তিনটি অপরিহার্য্য সেই উপাদানের দাম বেড়ে যায় (Price Hike)। এবার কলকাতা (Kolkata)-সহ রাজ্যের সর্বত্র রসুনের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। তবে নতুন রসুন উঠতে শুরু করায় দাম কমার সম্ভাবনাও রয়েছে। এর পাশাপাশি আতঙ্কের কথাও শুনিয়েছেন রসুনের কারবারিরা।
Advertisment
রসুনের দাম হঠাৎ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় হইচই পড়ে গিয়েছে। শিয়ালদার (Sealdah) কোলে মার্কেটের (Koley Market) পাইকরি রসুন ব্যবসায়ী বাদল মণ্ডল বলেন, 'পুরনো রসুনের দাম কেজি প্রতি ৫০০ টাকা। দীর্ঘ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আমার জীবনে রসুনের এত দাম কখনও দেখিনি। গতবারের বৃষ্টিতে (Rainfall) চাষের ক্ষতি হয়েছিল। তাই দাম বেড়েছে। নতুন রসুন বাজারে আসছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কমবে।"
এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ।
Advertisment
একই কথা আর এক ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ মণ্ডলেরও। তাঁর কথায়, 'চৈত্র মাসের প্রথম দিকে বৃষ্টি হলে এমন পরিস্থিতি হবে। তার ফলে মাটির নীচে থাকা রসুন পচে যায়। মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) রসুনের চাহিদা বেশি।"
রসুনের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ঘটায় পকেটে টান পড়ছে সাধারণ মানুষের। ক্রেতারা জানিয়েছেন, রসুনের এত দাম বেড়েছে, খুব অসুবিধা হচ্ছে। খরচ বেড়ে যাচ্ছে। মাসে বাজারের বাজেট (Budget) ছাড়িয়ে যাচ্ছে। নতুন রসুন কবে বাজারে আসে দিকে তাকিয়ে আছেন ক্রেতারাও। কয়েক মাসে রান্নার আর এক মশলা জিরার দাম বেড়েছিল মাত্রাছাড়া। কেজি ছাড়িয়ে গিয়েছিল আটশো টাকা। এখন অবশ্য কিছুটা কমেছে।
গত কয়েক মাসে পেঁয়াজ, আদা, জিরা, টমেটো (Tomato), রসুনের দাম বৃদ্ধিতে মাথায় হাত পড়েছে আমজনতার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বৃষ্টিপাত তথা স্বল্প উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে। তার ওপর রয়েছে অত্যাধিক পরিবহণ খরচ। মোটের ওপর বাজারের মূল্যবৃদ্ধির দুশ্চিন্তা কাটার সম্ভাবনা সাধারণের নেই। একটা কমবে তো আরেকটার দাম আকাশ ছোঁয়া হবে। এটাই যেন অলিখিত এক নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।