/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/27/vc-2025-08-27-15-10-26.jpg)
VC removal: স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের অপসারণ।
আচমকা অপসারিত মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। পবিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ আচার্য তথা রাজ্যপালের। নির্দেশ ঘিরে ফের রাজ্য- রাজ্যপাল সংঘাত? এখনই উপাচার্যকে রিলিজ নয় রেজিস্টারকে অপেক্ষা করার নির্দেশ উচ্চশিক্ষা দপ্তরের। এদিকে তাঁকে আর কোনও ফাইল না পাঠানোর জন্য রেজিস্টারকে নির্দেশ উপাচার্যের। সব মিলিয়ে প্রশাসনিক অচলাবস্থা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।
হঠাৎই সরিয়ে দেওয়া হল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ওই নির্দেশিকা অবিলম্বে কার্যকর করার জন্যও বলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী উপাচার্যকে 'রিলিজ' দেওয়ার কথা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টারের। কিন্তু, রেজিস্টার বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ ছাড়া তাঁর একার পক্ষে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। এবিষয়ে কর্তব্য জানতে চেয়ে তিনি উচ্চশিক্ষা দপ্তরের যোগাযোগ করলে তাঁকে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- Calcutta High Court:দুর্গাপুজোর অনুদান সবাইকে নয়, স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
কিন্তু হঠাৎ কেন সরানো হল উপাচার্যকে? সূত্রের খবর, অপসারণ এর পেছনে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা এবং দুর্নীতির বিষয় উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে প্রথমেই উঠে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন সংক্রান্ত জটিলতা। জানাগিয়েছে, আচার্য তথা রাজ্যপালের তরফে গত ২৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন করার জন্য দিন ধার্য করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল উপাচার্যকে।
২০১৭ সালের পর থেকেই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তরফে কিছুদিন আগেই আচার্যকে জানানো হয় এত অল্প সময়ের মধ্যে সমাবর্তন আয়োজন করা সম্ভব নয়। তাছাড়া সমাবর্তন আয়োজনের ক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক বাধ্যতামূলক। তাও হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে যারপরনাই অসন্তুষ্ট ছিলেন আচার্য। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক পুত্রের পরীক্ষার ফল আটকে রাখা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। যা নিয়ে হস্তক্ষেপ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজনৈতিক দলের অফিসে গিয়ে শিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে নাকি বৈঠক করেন উপাচার্য। আচমকা অপসারণ এর পেছনে এই কারণ থাকার সম্ভাবনাও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে উপাচার্য আচমকা অপসারণের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শাসক শিবির। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায় বলেন, রাজ্যপাল সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর চেষ্টা করছেন। উপাচার্য তাঁর দাড়া নিয়ন্ত্রিত হচ্ছেন না বা মাথানত করছেন না বলেই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
যদিও পাল্টা বিজেপির দাবি, রাজ্যে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যরাও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছেন। আচার্য হিসেবে রাজ্যপালের কাছে নিশ্চয়ই নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ রয়েছে। তার ভিত্তিতেই তিনি ব্যবস্থা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন- Durga Puja 2025:পুজোর আগে শপিং স্পেশাল বাস চালাবে রাজ্য, জানালেন পরিবহণমন্ত্রী
এদিকে আচমকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অপসারিত হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন ছাত্র ছাত্রীরাও।অপসারণের নির্দেশ পাওয়ার পর এদিন বিশ্ববিদ্যালয় গড়হাজির পবিত্র চট্টোপাধ্যায়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক অনুষ্ঠান ছিল উপাচার্যের।
উল্লেখ্য, এর আগেও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রজত কিশোর দে উপাচার্য থাকাকালীন তাঁকে অপসারণ করেছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। সেইসময় তাঁকে পুনঃবহাল করে পাল্টা নির্দেশিকা দেয় রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর। এবারও তেমন কিছুরই সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়ে।