/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/16/2Q3YdVxZY8m3Kg590Ppp.jpg)
প্রধানমন্ত্রী মোদী
GST Council 56th Meeting: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সভাপতিত্বে আজ বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে জিএসটি কাউন্সিলের ৫৬তম বৈঠক। দু’দিনব্যাপী এই বৈঠকে ১৭৫টি পণ্য—যার মধ্যে রয়েছে গাড়ি, সাবান থেকে শুরু করে এয়ার কন্ডিশনার, এই সকল পণ্যের উপর জিএসটি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনা হচ্ছে কর কাঠামো সহজ করতে ১২% ও ২৮% স্ল্যাব তুলে দিয়ে শুধু ৫% ও ১৮% রাখার ব্যাপারেও।
সূত্রের খবর, টুথপেস্ট, শ্যাম্পু, ট্যালকম পাউডার ও সাবানের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের উপর জিএসটি ১৮% থেকে কমে ৫% ধার্য করা হতে পারে। মাখন, পনির, আচার, চাটনি ও অন্যান্য প্রস্তুত খাবারের উপরও কর ১২%-১৮% থেকে নেমে আসতে পারে ৫%-এ। তবে তামাকজাত দ্রব্য এবং ৫০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের গাড়ির উপর অতিরিক্ত ৪০% কর বসতে পারে।
আরও পড়ুন-কলকাতায় কংগ্রেস দপ্তরে হামলা ভাঙচুর, অবশেষে গ্রেফতার BJP নেতা রাকেশ সিং
ইলেকট্রনিক্স আইটেমেও বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত রয়েছে। টিভি, ফ্রিজ ও ওয়াশিং মেশিনের মত পণ্যের ক্ষেত্রে GST ২৮% থেকে ১৮% স্ল্যাবে নামানো হতে পারে। অটোমোবাইল খাতে বিশেষ সুবিধা আসছে বলেই খবর। ১২০০ সিসি পর্যন্ত ছোট পেট্রোল কারে জিএসটি ২৮% থেকে কমে হতে পারে ১৮%। মারুতি সুজুকি ও টয়োটা’র মতো কোম্পানির জন্য এটি বড় সুবিধা হলেও টাটা মোটরস ও মহীন্দ্রা’র ইভি ব্যবসায় কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। একইসঙ্গে দাম কমতে পারে মোটরবাইকেরও।
বৈঠকের উদ্দেশ্য মূলত তিন দিক—প্রথমত, সাধারণ ক্রেতাদের জন্য ক্রয় ক্ষমতা কিছুটা বাড়ানো। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য হ্রাস এবং উৎসবের মরশুমের আগে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। দ্বিতীয়ত, ব্যবসায়ীদের জন্য রিফান্ড প্রক্রিয়া সহজ করা। তৃতীয়ত, কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক ভারসাম্য বজায় রাখা। বিশেষজ্ঞদের মতে, অটো মোবাইল, এফএমসিজি ও ইলেকট্রনিক্স খাতে এই সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন-পরিষেবা মসৃণ রাখতে শেষমেশ বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা মেট্রোর! নিত্যযাত্রীরা এখবর আগে পড়ুন
সকাল ১১টা থেকে নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে এই বৈঠক শুরু হয়েছে এবং আগামীকাল, ৪ সেপ্টেম্বর এর সমাপ্তি হবে। এই বৈঠককে ঘিরে ব্যবসায়ী মহল থেকে সাধারণ মানুষ—সবার নজর রয়েছে। এবার বৈঠকের মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে কর স্ল্যাবে বড় পরিবর্তন। সূত্রের খবর, ১২% ও ২৮% জিএসটি স্ল্যাব সম্পূর্ণভাবে তুলে দিয়ে কেবল ৫% ও ১৮% স্ল্যাব রাখা হতে পারে। এর ফলে ১২ শতাংশের আওতায় থাকা অধিকাংশ পণ্য ৫ শতাংশে এবং ২৮ শতাংশের আওতায় থাকা পণ্য ও পরিষেবা ১৮ শতাংশে চলে আসবে। এই পরিবর্তনের ফলে টুথপেস্ট, শ্যাম্পু, ট্যালকম পাউডারের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সস্তা হতে পারে। ইলেকট্রনিক্স পণ্য—যেমন টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার—এবং গাড়ি-বাইকেও দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে করের হার বাড়তে পারে, যার ফলে বিমান ভ্রমণের টিকিট কিছুটা দামি হতে পারে।