/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/25/death-2025-08-25-15-17-55.jpg)
migrant worker death: কলকাতা প্রেস ক্লাবে ভিনরাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর ভিনরাজ্যে অত্যাচারের প্রতিবাদে সোচ্চার গোলাম মণ্ডল।
Bengali speaking persecution: বাংলায় কথা বলাই তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অভিযোগ, বাংলাভাষী হওয়ায় তাঁকে বাংলাদেশি ভেবে তুলে নিয়ে গিয়েছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ। এরপর শুরু হয় ভয়াবহ নির্যাতন। পুলিশের হেফাজতে মারধর, খাবার না দেওয়া—সবকিছুই সহ্য করতে হয়েছিল গোলাম মন্ডলকে। নির্যাতনের সেই যন্ত্রণা নিয়েই হাবরায় ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু ফিরে এসে দিন দিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষমেশ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ভর্তি করা হয় হাবরা হাসপাতালে। কিছুটা সুস্থ হলেও ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অবশেষে গতকাল মৃত্যু হয় এই বাংলাভাষী শ্রমিকের।
গোলাম মন্ডলের পরিবার ইতিমধ্যেই গভীর সংকটে। সাত মাস আগে মারা গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। সংসারের একমাত্র রোজগারের ভরসা ছিলেন গোলাম। মৃত্যুর পর এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে কার্যত দিশেহারা তাঁর পরিবার। কীভাবে সংসার চলবে, তা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা।
গোলাম মন্ডল শুধু একজন সাধারণ শ্রমিকই ছিলেন না, বরং বাংলাভাষীদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। কিছুদিন আগেই কলকাতার প্রেসক্লাবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বাংলাভাষীদের উপর নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেছিলেন তিনি। প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন বাঙালিদের প্রতি হওয়া বৈষম্য নিয়ে।
তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। প্রতিবেশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “শুধু বাংলায় কথা বলার কারণে একজন মানুষকে বাংলাদেশি বলে অপমান করা হয়েছে, মারধর করা হয়েছে। আজ তিনি বেঁচে নেই। এ অন্যায় সহ্য করা যায় না।”
আরও পড়ুন- West Bengal news Live Updates: হঠাৎ হাইকোর্টে অভিষেক, কারণ ঘিরে জোরদার জল্পনা!
স্থানীয়দের দাবি, বাংলাভাষীদের উপর এ ধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। গোলাম মন্ডলের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার কীভাবে বাঁচবে, সেই প্রশ্নও এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন-High Court:হাইকোর্টে বড়সড় প্রশ্নের মুখে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব