Headless Body found in Trolley Bag in kolkata: গতকালই কলকাতার কুমোরটুলির গঙ্গার ঘাটে পিসিশাশুড়ির টুকরো টুকরো করা মৃতদেহ ট্রলিব্যাগে ভরে ফেলতে গিয়ে ধরা পড়ে যান ফাল্গুনী ঘোষ ও তার মা আরতী ঘোষ। ধৃত মা-মেয়েকে জেরায় চোখ কপালে তোলার মতো তথ্য পেয়েছে পুলিশ। যা জেনে দুঁদে পুলিশকর্তারাও হতবাক।
কুমোরটুলির গঙ্গার ঘাটে ট্রলিব্যাগে ভরে মৃতদেহ ফেলার চেষ্টার ঘটনার তদন্তে হাড়হিম করা তথ্য পেয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃত পিসিশাশুড়ি সুমিতা ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ফাল্গুনীর গন্ডগোল ছিল। ঘটনার দিন কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রবল বচসা হয়। সেই বচসার সময়েই ইট দিয়ে পিসিশাশুড়ির মাথায় আঘাত করেন ফাল্গুনী, তাতেই ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয় বলে দাবি করা হচ্ছে।
এরপর মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়। ফাল্গুনীকে একাজে সাহায্য করেন তার মা আরতী ঘোষ, উঠেছে এমনই অভিযোগ। এমনকী মৃতদেহ লুকোতে এই মা-মেয়ে একটি বড় ট্রলিব্যাগ কিনে এনেছিলেন। ফাল্গুনীর মা আরতী নার্সিং-এর কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাই তার পক্ষে কাটা-ছেঁড়া করাটা জলভাতের মতো ব্যাপার। শাশুড়ির দেহ টুকরো টুকরো করতে মায়ের সাহায্য নিয়েছিলেন ফাল্গুনী, প্রাথমিকভাবে তাদের জেরা করে এমনই তথ্য জেনেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: খাস কলকাতার রাস্তায় যুবকের রক্তাক্ত দেহ, হাড়হিম কাণ্ডে তোলপাড়
তারপর সেই মৃতদেহ ভরে ফেলা হয় ওই ট্রলিব্যাগে। এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় তদন্তে উঠে এসেছে। নিহত সুমিতা ঘোষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু টাকা ছিল। বেশ কিছু টাকা ইতিমধ্যেই হাতিয়ে নিয়েছে মা-মেয়ে। বাকি টাকাও তারা হাতানোর মতলবে ছিল। তদন্তে এমনই জেনেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- Holiday Controversy: বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল করে ইদে দু'দিন ছুটির নোটিশ, বিতর্ক বাড়তেই কড়া পদক্ষেপ
ঘটনা প্রকাশ্যে আসার দিন মধ্যমগ্রাম থেকে ১৩০ টাকা দিয়ে ভ্যান ভাড়া করে ট্রলিব্যাগ নিয়ে মা-মেয়ে প্রথমে বারাসতের দোলতলা মোড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে ট্যাক্সি ভাড়া করে তারা পৌঁছোয় কুমোরটুলির গঙ্গার ঘাটে। গঙ্গার ঘাটে সাতসকালে প্রকাণ্ড ট্রলিব্যাগ নিয়ে মা-মেয়েকে হাঁটতে দেখেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তাদেরই জোরাজুরিতে ট্রলিব্যাগে মৃতদেহ থাকার কথা স্বীকার করে নেয় ফাল্গুনী-আরতি। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। ইতিমধ্যেই মধ্যমগ্রামের ওই বাড়িতে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন- Maha Shivratri 2025: বর্গী হামলা থেকে বাঁচতেই বাংলাজুড়ে শিব মন্দির তৈরির আগ্রহ বাড়ে, মত বিশিষ্ট ইতিহাসবিদের