New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/07/1SKCVZBGW2OXiqbES09d.jpg)
Purba Bardhaman News: ক্লাসরুমেই জমিয়ে ঘুম প্রধান শিক্ষকের।
Purba Bardhaman News: ক্লাসরুমেই জমিয়ে ঘুম প্রধান শিক্ষকের।
Headmaster of purba bardhaman memari school sleep video viral on social media: পড়াশোনা লাটে তুলে দিয়ে ক্লাস ঘরের চেয়ারে হেলান দিয়ে দু’পা টেবিলের উপর রেখে গভীর ঘুম খোদ প্রধান শিক্ষকের। পড়ুয়ারা খেলে বেড়াচ্ছে স্কুলের মাঠে। শিক্ষকের এই ঘুমের ভিডিও সোশ্যাল ভিডিও-য় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। তবে ভিডিওটি তোলপাড় ফেলে দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে।
মেমারি ১ ব্লকের মগলমপুর প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস। ক্লাসরুমে তাঁরই ঘুম দেওয়ার ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। এলাকাবাসীর কথায়, "শুধু ক্লাসে ঘুম দেওয়া শিক্ষকই নয়, জামা খুলে ঘুরে বেড়ানো শিক্ষকও এই স্কুলে রয়েছে।" সরকারি স্কুলের ক্লাস রুমে খোদ প্রধান শিক্ষকের ঘুমানোর ভিডিও দেখে যারপরনাই বিরক্ত জেলা প্রাথমিক স্কুল সংসদের চেয়ারম্যান তথা মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “কোনও শিক্ষকের এ রকম কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। ওই শিক্ষককে শো-কজ করা হবে। সংসদে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হবে।" এদিকে ওই প্রধান শিক্ষক অবশ্য স্কুলে এসে ঘুমানোর বিষয়টি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিকে এই ভিডিও-ছড়িয়ে পড়ার পর মগলমপুর প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেমারি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে তিনি দাবি করেছেন, কয়েকজন দুস্কৃতী গত ৩১ জানুয়ারি তাঁর স্কুলের ভিতরে ঢুকে পড়ে। তারা ক্লাস ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে তাঁকে মারতে শুরু করে। এমনকী দুস্কৃতীরা নাকি তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁর গলায় থাকা সোনার গয়না ও পকেটে থাকা টাকা ছিনতাই করেছে। সরস্বতী পুজোর পাঁচ হাজার টাকার জন্যই নাকি এমন হামলা হয়েছিল বলে প্রধান শিক্ষকের দাবি ।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: কল্যাণীর বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ-আগুন, কমপক্ষে ৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
যদিও স্কুলের অন্য দুই শিক্ষক এমন অভিযোগের কথা শুনে কার্যত স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা বলেন, "ওই দিন আমরা তিনজনই স্কুলে ছিলাম। স্কুলে ওই দিন কোনও পড়ুয়া আসেনি। আমরা নিজেদের ক্লাস ঘরেই ছিলাম। বহিরাগতরা স্কুলে এসে ওই দিন প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা চালিয়েছে, এমনটা তাঁরা এই প্রথম শুনছেন বলে জানিয়েছেন।”
আরও পড়ুন- RG Kar Case: আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি, রাজ্যের আর্জি খারিজ হাইকোর্টে
প্রধান শিক্ষক যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তাঁদের মধ্যে একজন হলেন বাসুদের হাজরা। প্রধান শিক্ষকের আনা অভিযোগের বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "অভিযোগ মিথ্যা। আসলে প্রধান শিক্ষকের জন্যে মগলমপুর প্রাথমিক স্কুলে প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রী কমছে। পড়ুয়ারা পাশের গ্রামের স্কুলে চলে যাচ্ছে। এ সব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলেই প্রধান শিক্ষক মিথ্যা অভিযোগ করছেন। মিথ্যা অভিযোগ বলেই প্রধান শিক্ষকের সহকর্মীরাও এমন অভিযোগের কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন।"
আরও পড়ুন- RG Kar: আরজি কর মামলা, নির্যাতিতার পরিবারকে তাড়াহুড়োয় মানা সুপ্রিম কোর্টের
অন্যদিকে, অভিযোগ পত্রে নাম থাকা সুমন্ত ঘোষ নামে অপর আর একজন বলেন, "স্কুলে সরস্বতী পুজো হবে কিনা, তা জানতে আমরা দু’জন স্কুলে গিয়েছিলাম। এর বাইরে আর কিছুই হয়নি। প্রধান শিক্ষক তো হামেশাই স্কুলের চাবি হারিয়ে ফেলেন। তিনি স্কুলে এসে ঘুমোন।” এই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য লুৎফর বেগম বলেন, “প্রধান শিক্ষক মাঝেমধ্যেই স্কুলে ঘুমিয়ে পড়েন। তার এক সহকারি শিক্ষক আবার জামা খুলে স্কুলে পড়ান। এসব না করতে আমরা বার বার বলেছি। শিক্ষকের এ হেন আচরণ কখনই কাম্য নয়।"