/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/03/fldv5uHuleT3YBolgb6N.jpg)
Digha Jagannath Temple : দিঘার জগন্নাথ ধাম।
Digha Jagannath Temple visitor rules:অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য তিথিতে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। তারপর থেকেই খুলে গিয়েছে মন্দির। দিঘায় নবনির্মিত এই জগন্নাথ ধাম নিয়ে বঙ্গবাসীর উৎসাহ-উদ্দীপনার শেষ নেই। মন্দিরের দরজা খুলে যাওয়ার পরেই কাতারে-কাতারে ভক্তের ভিড়ও জমতে শুরু করেছে। গত বুধবার মন্দিরের উদ্বোধনের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দিঘার মন্দিরে ভিড় বাড়ছে পুণ্যার্থীদের। সুবিশাল এই তীর্থক্ষেত্রে জগন্নাথ দর্শনের নিয়ম কী কী? প্রতিদিন কতক্ষণ খোলা থাকছে মন্দির? এমনই বেশ কিছু প্রশ্নর উত্তর মিলবে বিশেষ এই প্রতিবেদনে।
দিঘার মন্দিরের যাবতীয় দায়িত্ব ISKCON-এর হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। কলকাতা ইসকনের সহ সভাপতি রাধারামন দাস জানিয়েছেন, দিঘার জগন্নাথ ধামে ঢোকা যাবে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। জগন্নাথ ধামের মোট ৭টি গেট থাকলেও প্রাথমিকভাবে ১, ২,৩ ও ৬ নম্বর গেট দিয়েই পুণ্যার্থীরা ঢুকতে পারবেন। প্রতিটি গেটের সামনে কাউন্টার থাকছে। সেই কাউন্টারে জুতো খুলে মন্দিরে ঢুকতে হবে পুণ্যার্থীদের।
রাধারামন দাসের কথায়, "জগন্নাথ ধামে প্রতিদিন জগন্নাথ, বলরাম,সুভদ্রা সহ অন্যান্য দেবতাদের পাঁচ-বার ভোগ নিবেদন করা হবে। সকালে মিষ্টি, ক্ষীর প্রদানের পাশাপাশি ৭টা, ১০টা, ১২টা, সন্ধে ৬টায় ভোগ নিবেদন করা হবে। দুপুরে 'রাজভোজ' নিবেদন করা হবে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষ মিষ্টি, ফল সহ অন্যান্য ভোগ নিয়ে এলে তাও প্রভুর কাছে নিবেদন করা হবে। প্রতিদিন সকালে ধামের ধ্বজা লাগানো হবে এবং বিকেল সাড়ে চারটে থেকে পাঁচটার মধ্যে তা খুলে নেওয়া হবে। ধ্বজা লাগানোর জন্য দু'জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। দিঘায় ভক্তদের ভিড় বাড়ছে। তাই দিঘার পাশাপাশি কলকাতার মধ্যে সমন্বয় রেখে মন্দিরের কাজ করা হবে।"
এদিকে, দিঘার মন্দিরের 'জগন্নাথ ধাম' নাম নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলেছে পড়শি রাজ্যের সরকার। ওড়িশা সরকার পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষকে দিঘায় তাঁদের দ্বাদশ শতাব্দীর পুরীর মন্দিরের প্রতিরূপের উদ্বোধনের পর উদ্ভূত বিতর্কগুলি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে।
শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ কুমার পাধীকে লেখা এক চিঠিতে ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন নবনির্মিত দিঘা মন্দিরের 'জগন্নাথ ধাম' নামকরণ, নতুন মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানে পুরীর সেবায়েতদের অংশগ্রহণ এবং নবকলেবর রীতি-নীতির উদ্বৃত্ত পবিত্র নিম কাঠ ব্যবহার করে নতুন মন্দিরের জন্য প্রতিমা তৈরির বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্তেরও আবেদন জানিয়েছেন।