Humayun Kabir attacks Suvendu Adhikari again: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধে 'ঠুসে দেব' মন্তব্যে অনড় মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বরং আজ আরও সুর চড়িয়ে বললেন, "যার দম নেই সে একথা বলে কেন? গোটা সম্প্রদায়কে আক্রমণ করে কেন?"
আবারও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। গতকালই শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে হুমায়ুনের 'ঠুসে দেব' মন্তব্যে তুমুল জলঘোলা হয়। বিধানসভার অন্দরে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন BJP-র বিধায়করা। হুমায়ুনের পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানিয়ে 'ঠ্যাং ভেঙে দেব' শীর্ষক মন্তব্য শোনা গিয়েছে তৃণমূলের আর এক সংখ্যালঘু বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর মুখেও।
হুমায়ুন-সিদ্দিকুল্লাদের সেই মন্তব্যের প্রতিবাদে আজও বিধানসভায় তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যায়। হুমায়ুন কবীর এবং সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। অধ্যক্ষ আলোচনায় সম্মতি না দেওয়ায় বিধানসভা কক্ষ ওয়াকআউট করে বেরিয়ে এসে বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপির বিধায়করা।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী শুভেন্দুই? কোনও রাখঢাক না রেখেই এবার সুকান্ত যা বললেন...
এদিকে হুমায়ুন কবীর নিজের বক্তব্যে অনড় রয়েছেন। আজও শুভেন্দুকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূলের এই সংখ্যালঘু বিধায়ক বলেছেন, "ঠুসে দেওয়ার কথা শুনেই ভয় পেয়ে গেছে। অধ্যক্ষের সচিবালয়ে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য চিঠি দিচ্ছে। যার দম নেই সে এই কথা বলে কেন? গোটা সম্প্রদায়কে আক্রমণ করে কেন? সবাইতো এখনও মুখ খোলেনি। আমি একা মুখ খুলেছি। খুন করা হতে পারে বলছে, আমরা কি এখানে খুন করতে আসি। আমাকে বলছে ছুঁড়ে ফেলে দেবে, আমিও বলছি ঠুসে দেব।"
আরও পড়ুন- Dol: দোল উপলক্ষে নিরামিষ খাবার খেতে আবেদন, তৃণমূল নেতার কথায় তুঙ্গে চর্চা
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সংখ্যালঘু বিধায়কদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আগামী বছরের বিধানসভা ভোটে রাজ্যে ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘু বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর সেই মন্তব্যের পাল্টা সোচ্চার তৃণমূলের সংখ্যালঘু বিধায়করা।
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে তৃণমূলের সংখ্যালঘু বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীদের মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে আজ বিধানসভা কক্ষে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপির বিধায়করা। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টিতে আলোচনার সম্মতি দেননি। ফের একবার বিধানসভা ভবন ওয়াক আউট করে বাইরে বেরিয়ে যান বিজেপির বিধায়করা।
আরও পড়ুন- Bank Holiday: টানা কয়েকদিন বন্ধ ব্যাঙ্ক, দুর্ভোগ এড়াতে বিশদে জানুন
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, "গতকাল বিধানসভায় সংখ্যালঘু ভোটের তুষ্টিকরণ করতে গিয়ে উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ভেবেছিলেন ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে যাব। তবে মুখ্যমন্ত্রী বলতে বাধ্য হয়েছেন যে আমার তোলা অভিযোগ খানিকাংশে সঠিক। তুষ্টিকরণের রাজনীতি বন্ধ হোক। কোনও অবস্থায় হিন্দুদের জীবন বিপন্ন করা যাবে না। এই মুহূর্তে হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্ন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিরোধী দলের নেতাকে বলা হচ্ছে 'ঠুসে দেব, ঠ্যাং ভেঙে দেব'। এই মুহূর্তে এ রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম ইস্যুটি একটি বড় ইস্যু বলে মনে করে বিজেপি। "