Humayun Kabir says he will follow Mamata Banerjee's instructions: দিন কয়েক ধরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধে তাঁর 'গরমাগরম' হুমকি-হুঁশিয়ারি রীতিমতো চর্চায় ছিল। তবে এবার আর 'রিস্ক' নিলেন না হুমায়ুন। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ওপর বেজায় চটেছেন বুঝেই যেন 'ইউ-টার্ন' মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের।
মঙ্গলবার বিধানসভায় হুমায়ুন কবীরকেকো ডেকে দলের শৃঙ্খলার পাঠি দিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। হুমায়ুন কবীরকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দলের শৃঙ্খলা প্রত্যেককে মেনে চলতেই হবে। অন্যথায় দল উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। এমনকী হুমায়ুন কবীরের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর ওপর বেজায় চটেছেন বলেই হুমায়ুনকে জানিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, এমনই খবর সূত্রের। হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের এদিন মিনিট ১৫-২০ বৈঠক হয়।
সেই স্বল্প বৈঠক সেরেই হুমায়ুন কবীরও যাবতীয় সংঘাতে ইতি টেনেছেন নিজেই। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, দলের শৃঙ্খলা তিনি মেনে চলবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে যা নির্দেশ দেবেন তা অক্ষরে-অক্ষরে তিনি মানবেন। মঙ্গলবার শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার পর ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, "শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে আমি খুশি। শোভনদেববাবু আমাকে যা বলেছেন তা আমার ভালো লেগেছে। দলের শৃঙ্খলা মেনে চলব। দলনেত্রী যা নির্দেশ দেবেন তা মেনে চলব।"
আরও পড়ুন- Partha-Kuntal-Sujaykrishna: বেড়াতে যাওয়ার 'বায়না' কুন্তলের, কী বললেন বিচারক? পার্থ-কাকুকে নিয়েও বড় খবর!
সংঘাতটা তৈরি হয়েছিল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি মন্তব্যের পর। শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, রাজ্যে তাঁর দল ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের মুসলিম বিধায়কদের 'চ্যাংদোলা' করে ছুঁড়ে ফেলা হবে। বিরোধী দলনেতার সেই হুঁশিয়ারির পরেই রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীরা তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তৃণমূলের অন্য নেতা-বিধায়করাও মুসলিম বিধায়কদের শুভেন্দু অধিকারীর এই আক্রমণের বিরোধিতায় সোচ্চার হন। বামেরাও প্রতিবাদ জানায়।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: হিন্দুরা এককাট্টা হতেই ভয় মমতার? শুভেন্দুর নেতৃত্বে হুলস্থূল, উত্তাল রাজ্য বিধানসভা
এরপরেই হুমায়ুন কবীর শুভেন্দু অধিকারীকে রীতিমত শাসানি দিয়ে বলেন, "ঠুসে দেব।" এমনকী শুভেন্দু অধিকারীকে মুর্শিদাবাদে তিনি ঢুকতে দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন। এদিকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার উদ্দেশ্যে বিধায়ক হুমায়ুনের এই আক্রমণের তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। তৃণমূল শোকজ করে ভরতপুরের বিধায়ককে। তবে সেই শোকজ চিঠির যে উত্তর হুমায়ুন কবীর দিয়েছিলেন তাতে সন্তুষ্ট ছিল না তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি।
আরও পড়ুন- Mamata-Dilip: ফের স্বমহিমায় দিলীপ! ঘনিষ্ঠ সায়ন্তনকে পাশে নিয়েই মমতাকে তীব্র আক্রমণ
পরবর্তী সময়ে হুমায়ুন কবীরও জানান তিনি কোনও ভুল করেননি, শোকজের উত্তরও তিনি দিয়েছেন। এমনকী নিজের পুরনো অবস্থানেই তিনি অনড় রয়েছেন বলেও জানান। যদিও শেষমেষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'স্ট্রিক্ট অ্যাকশন' নিতে পারেন ভেবেই বোধ হয় শেষমেশ আর 'রিস্ক'টা নিতে চাইলেন না হুমায়ুন। সটান নিজেরই করা আগের মন্তব্য নিয়েও ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন হুমায়ুন।