Husband surrenders to police station after killing wife in Sonarpur: সোনারপুরের মাহিনগরে রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড। প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুনের ছক কষেছিলেন স্ত্রী। তবে সেই ষড়যন্ত্রের জালেই শেষ পর্যন্ত প্রাণ গেল তরুণীর। স্ত্রীকে খুনের পর নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার মাহিনগর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ক্যানিংয়ের হেরোভাঙা এলাকার বাসিন্দা বাপি গায়েন বছর আটেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন প্রতিবেশী প্রিয়াঙ্কা গায়েনকে। বিয়ের পর কাজের সূত্রে বাপি পার্ক সার্কাসের একটি কারখানায় চাকরি পান। তারপর স্ত্রীকে নিয়ে সোনারপুরের মাহিনগরে ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করেন।
সেই ভাড়াবাড়ির পাশের ঘরেই থাকতেন সুপ্রকাশ দাস ও তাঁর স্ত্রী। সূত্রের খবর, ধীরে ধীরে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুপ্রকাশের। শুরু হয় গোপন প্রেম। বিষয়টি জানতে পেরে অশান্তি শুরু হয় বাপি-প্রিয়াঙ্কার সংসারে। এরই মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র চলে যায় সুপ্রকাশ। তবুও সুপ্রকাশের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার সম্পর্ক ছিলই। দু'জনে মাঝে মাঝে ধানমাঠ এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে একসঙ্গে সময় কাটাতেন। এই খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাপি।
আরও পড়ুন- SSC Recruitment Case: চাকরিহারাদের পাশে আছেন তিনিও, পরামর্শ নিতেই আজ অভিজিৎ গাঙ্গুলির দ্বারস্থ শিক্ষকরা
জানা গিয়েছে, স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করছিলেন প্রিয়াঙ্কা ও সুপ্রকাশ। সেকথা ফোনে বলার সময় কোনওভাবে শুনে ফেলেন বাপি। তারপরেই নিজের জীবন বাঁচাতে এবং প্রতিশোধ নিতে স্ত্রীকে খুন করার পরিকল্পনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:মেয়রের সামনেই তুমুল মারামারি, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে তুলকালাম-কাণ্ড
অভিযোগ, রাতে স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়তেই শ্বাসরোধ করে খুন করেন বাপি। স্ত্রীকে খুনের পর নিজের অপরাধ স্বীকার করে সোজা সোনারপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত বাপিকে জেরা করে ঘটনার সম্পূর্ণ তথ্য জানার চেষ্টা চলছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন- SSC Recruitment Case Verdict: মমতা মন্ত্রিসভার তৈরি অতিরিক্ত শূন্যপদ বেআইনি? নজর আজ সুপ্রিম কোর্টে
প্রতিবেশীদের একাংশ জানিয়েছেন, বাপি-প্রিয়াঙ্কার মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। তবে এমন ঘটনা ঘটবে তা কেউ কল্পনাও করেননি। তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পরকীয়া থেকেই এই নারকীয় পরিণতি। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সোনারপুর থানার পুলিশ।