Patna Hospital Murder: পাটনার হাসপাতালে গ্যাংস্টার খুনের ষড়যন্ত্রের ছক হয় পুরুলিয়া জেল থেকেই? চাঞ্চল্যকর তথ্যে মামলায় নয়া মোড়।
বিহারের কুখ্যাত গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্রকে প্রকাশ্য দিবালোকে পারস হাসপাতালের ভিতর খুনের তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য—এই খুনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল পুরুলিয়া কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বসেই। পুলিশ সূত্রে খবর, চন্দনকে খুনে জন্য ১০ লক্ষ টাকার সুপারি দিয়েছিল শেরু সিং। যিনি বর্তমানে জোড়া ডাকাতি মামলায় জেলবন্দী রয়েছেন। পাটনার অপরাধ জগতের পরিচিত মুখ, কন্ট্রাক্ট কিলার তৌসিফ রাজার হাতে। এরপরই সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে কীভাবে আততায়ীরা হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে গুলি চালিয়ে খুন করে চন্দন মিশ্রকে।
শনিবার সকালে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি অভিজাত আবাসন থেকে পাঁচ জনকে আটক করে বিহার পুলিশ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ। এরপর গতকাল রাতে আনন্দপুরের এক গেস্ট হাউসে হানা দিয়ে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয় তৌসিফ রাজা সহ চারজন। পুলিশ সূত্রে খবর, পুরুলিয়া জেলে বন্দি শেরু ওরফে ওমকার সিং চন্দন হত্যার সুপারি দেয়। শেরু এবং চন্দন একসময় 'অপরাধ জগতের পার্টনার' হলেও পরবর্তীতে গয়নার দোকান ডাকাতির পর দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
চন্দন হত্যায় বরখাস্ত ৫ পুলিশ কর্মী
ঘটনার জেরে পাটনার শাস্ত্রী নগর থানার ১ ইন্সপেক্টর, সহ ৫ কনস্টেবলকে বরখাস্ত করেছে বিহার প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।বিহার স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) পুরুলিয়া জেলে পৌঁছে জেরা করে শেরুকে। শেরু জানায়, চন্দনকে খুনের পরিকল্পনা হয়েছিল জেল থেকেই। এরপর পরিকল্পনামাফিক আততায়ীরা পাটনার পারস হাসপাতালের কাছে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় ও খুনের ছক সফল করে।
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ পাঁচজন বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রশ্ন উঠছে—বিহারের গ্যাংস্টাররা কি পশ্চিমবঙ্গকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করছে? এর আগেও বাংলার সঙ্গে বিহারের অপরাধমূলক যোগসূত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এই ঘটনায় ফের সেই আশঙ্কাই জোরদার হচ্ছে।