21 July Martyrs’ Day rally: ২৬-এর নির্বাচনের আগে শেষবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সেদিকেই নজর রাজ্যবাসীর। ইতিমধ্যে ২১ জুলাইয়ের সকল প্রস্তুতিও সাড়া হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী সমর্থকরা কলকাতা অভিমূখে আসতে শুরু করেছেন। সকলেই মুখিয়ে আছেন দলনেত্রীর বার্তা শোনার জন্য।
মাত্র ২ দিন আগেই বঙ্গে জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বাঙালি মন পেতে মোদীর গলায় জয় এবার শ্রীরামের বদলে শোনা গিয়েছে 'জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা'! ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী RG Kar কাণ্ড থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ের কসবার ল' কলেজের গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাংলাজুড়ে সিন্ডিকেট রাজের অভিযোগ তুলে সোচ্চার হন প্রধানমন্ত্রী। এর সঙ্গে এবার বিজেপিকে সুযোগ দেওয়ারও আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।
মোদী তাঁর ভাষণে বলেন, "আজ বাংলার হাসপাতালও মেয়েদর জন্য সুরক্ষিত নয়। চিকিৎসক তরুণীর সঙ্গে অত্যাচার হওয়ার পর কীভাবে তৃণমূল সরকার অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছে সবাই দেখেছে। এরই মধ্যে আরও এক কলেজে একটি মেয়ের সঙ্গে একটি মেয়ের সঙ্গে যা অত্যাচার হল সেটাও সবাই দেখেছে। এক্ষেত্রেও অপরাধীদের সঙ্গে যোগ তৃণমূলের। তৃণমূলের বড়-বড় নেতা-মন্ত্রীরা অপরাধীর বদলে নির্যাতিতাকেই দোষী বলছে। এমন অনেকে তৃণমূলের নির্মততার সাক্ষী। সবাই মিলে বাংলাকে এই নির্মমতা থেকে মুক্তি দিতে হবে।"
আগামীকাল বাঙালি অস্মিতায় শান দিয়ে মোদীর বক্তব্যকে নিশানা করেই আক্রমণ শানাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। মমতার ভাষণে উঠে আসতে পারে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থেকে 'বাঙালি বিদ্বেষ প্রসঙ্গ। উল্লেখ্য গত ১৬ জুলাই বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা ভাষায় কথা বলায় হেনস্থার অভিযোগ তুলে রাজপথে এক মহা মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসতে পারে বিহারের ভোটার তালিকায় সংশোধনের প্রসঙ্গও।
বিহারের মডেলে বাংলাতেও ভোটার তালিকা সংশোধনের মাধ্যমে বিজেপির 'গোপন এজেন্ডা' নিয়ে ইতিমধ্য একাধিকবার সরবও হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। পহেলগাঁও হামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যার্থতা পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে বিজেপির পরিকল্পিতভাবে বিরোধী নেতৃত্বকে কোণঠাসা করার চক্রান্তের বিরুদ্ধেও সরব হতে পারেন মমতা। রাজনৈতিক মহলের মতে ২৬-এর আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারের লড়াইয়ে বাঙালি বিদ্বেষই হতে চলেছে তৃণমূলের প্রধান হাতিয়ার।