IIM-Calcutta Rape Case: IIM জোকা ধর্ষণ মামলায় নয়া মোড়, নির্যাতিতার বাবার বিস্ফোরক দাবি ঘিরে চূড়ান্ত শোরগোল। 'ধর্ষণ হয়নি, মেয়ে অটো থেকে পড়ে গিয়েছিল', এমনই দাবিকে কেন্দ্র করে হুলস্থূল।
কলকাতার IIM-জোকা ক্যাম্পাসে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল বাংলা। গতকাল সকাল থেকেই এই খবর চাউর হতেই রাজ্য জুড়ে রীতিমত শোরগোল পড়ে যায়। এরপরই হঠাৎই বিকেলে ভোলবদল নির্যাতিতার বাবার। মেয়ের উপর যৌন নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বাবা বলেছেন, এরকম কিছুই ঘটেনি। বাবার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই ধর্ষণ মামলায় বাড়ছে ধোঁয়াশা।
কলকাতার আইআইএম (IIM) ক্যাম্পাসে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গোটা রাজ্য উত্তাল হলেও, এবার ওই তরুণীর বাবার পাল্টা বক্তব্যে মামলায় নয়া মোড় এসেছে। তাঁর দাবি, মেয়ের উপর কোনও নির্যাতন হয়নি, বরং অটো থেকে পড়ে গিয়েই আহত হয়েছিল সে। একইসঙ্গে অভিযোগ করেছেন, মেয়েকে জোর করে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে অভিযোগ।
শুক্রবার রাত ৯:৩৪ মিনিটে মেয়ের অসুস্থতার খবর পান বলে জানান তিনি। এরপর মেয়েকে এসএসকেএম হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়। মেয়ের সঙ্গে কথা বলার পর বাবা জানান, "মেয়ে স্পষ্ট বলেছে, ওর সঙ্গে কিছুই ঘটেনি। গ্রেফতার হওয়া ছাত্রের সঙ্গে ওর কোনও সম্পর্কও নেই।"
এদিকে, পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে ভিন্ন চিত্র উঠে এসেছে। ভুক্তভোগীর দাবি, অভিযুক্ত ছাত্র কাউন্সেলিংয়ের নাম করে তাকে হোস্টেলে নিয়ে যায়। সেখানেই পিৎজায় মাদক মিশিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করা হয়। এমনকি অর্ধচেতন অবস্থায় মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ অভিযুক্ত ছাত্রকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলে। আদালতের নির্দেশে ১৯ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে ওই ছাত্রকে।
অন্যদিকে, অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, ওই তরুণী একজন কাউন্সিলর এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তিনি স্বেচ্ছায় হোস্টেলে গিয়েছিলেন কাউন্সেলিংয়ের জন্য।
তবে মামলার মূল সূত্র ধোঁয়াশার মধ্যে পড়ে গিয়েছে ভুক্তভোগীর বাবার সাম্প্রতিক বক্তব্যে। তিনি অভিযোগ করেছেন, "থানা থেকে মেয়েকে কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেটাও জানানো হয়নি। আমার মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েনি।"এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
আইআইএম জোকার তরফে একটি সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, অভিযোগকারিণী ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী নন। তবে তারা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং প্রশাসনের তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, মাদক, মারধর, অচেতন অবস্থায় ধর্ষণ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।