International Cat Day: প্রতি বছর ৮ আগস্ট বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস। ২০০২ সালে পশু প্রেমীদের উদ্যোগে শুরু হওয়া এই দিনটি ধীরে ধীরে আজ বৃহৎ পরিসরে পালন করা হয়। আজকের দিনে বিড়ালপ্রেমীরা এদিন নানা উদ্যোগ নেন—কেউ উদ্ধার হওয়া বিড়াল দত্তক নেন, আবার কেউ বিড়াল নিয়ে যে সকল সংগঠন কাজ করে সেই সকল সংস্থায় অর্থ বা সামগ্রী দান করেন। এই দিনটির মূল উদ্দেশ্য শুধু উদযাপন নয়, সেই সঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি বিড়াল অবহেলা ও নির্যাতনের শিকার। আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবসে সকলের কাছে আহ্বান জানানো হয় বিড়ালের সুরক্ষা নিশ্চিত করার। ৮ আগস্ট কেবল বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের দিন নয়, বরং তাদের জন্য কিছু করার সঠিক সময়ও বটে।
ভারতের নানা প্রান্তে বিড়ালকে নিয়ে ছড়িয়ে আছে নানান কুসংস্কার ও বিশ্বাস। কিন্তু কর্ণাটকের মাণ্ড্যা জেলার বেক্কালালে গ্রামে বিড়ালকেই দেবীর আসনে বসিয়ে পূজো করা হয়। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস,দেবী মঙ্গম্মা বিড়ালের রূপে গ্রামে বাস করতেন এবং গ্রামকে অশুভ শক্তি ও বিপদ থেকে রক্ষা করতেন। এই গ্রামে বিড়াল পূজার জন্য রয়েছে তিন-চারটি মন্দির। গ্রামের মানুষ বিড়ালের প্রতি এতটাই শ্রদ্ধাশীল যে বিড়ালের প্রতি কোনও নিষ্ঠুর আচরণ হলে অপরাধীকে শাস্তিদেওয়ার বিধিও এই গ্রামে প্রচলতি আছে। এমনকি কোথাও মৃত বিড়াল পাওয়া গেলে যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে সেটিকে কবর দেওয়া হয়। দেবী মঙ্গম্মার উদ্দেশ্যে এখানে পালিত হয় মঙ্গম্মা উৎসব। স্থানীয় জ্যোতিষীরা শুভ দিন নির্ধারণ করেন এবং উৎসব চলে দুই থেকে তিন দিন ধরে।
জানেন কী প্রসাদ হিসেবে কী দেওয়া হয়? শুনলে অনেকেই চমকে যাবেন। কারণ এখানে প্রসাদ লাড্ডু বা প্যারা নয়, বরং বিড়ালের থুতুকেই প্রসাদ হিসাবে বিতড়ণ করা হয়। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন! এখানে বিশ্বাস করা হয় যে বিড়ালের লালা খুবই শুভ এবং তা গ্রহণ করলে জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। এখন এটাকে বিশ্বাস বলুন বা ঐতিহ্য বলুন, কিন্তু এখানকার মানুষের বিশ্বাস এতে অটল।
গ্রামের মানুষের কথায়,শ'য়ে শ'য়ে বছর আগে, পুরো গ্রামটি অশুভ শক্তির দ্বারা আচ্ছন্ন ছিল। যখন অশুভ শক্তি এখানে বিরাজ করত, তখন দেবী মাঙ্গাম্মা বিড়ালের রূপে গ্রামে এসে গ্রামটিকে রক্ষা করেছিলেন। এরপর, দেবী গ্রামের একটি স্থানে তাঁর চিহ্ন রেখে যান। পরে, একই স্থানে মন্দির নির্মিত হয় এবং তারপর থেকে, মানুষ গ্রামে বিড়াল পুজোর প্রচলন শুরু করেন। প্রতি বছর এই গ্রামে দেবী মাঙ্গাম্মার উৎসব অত্যন্ত উৎসাহের সাথে পালিত হয়।