Success Story: গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন সোনারপুরের অধ্যাপক। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির তরফে প্রতি বছরই পৃথিবীর সমস্ত গবেষকদের গবেষণাপত্র থেকে বাছাই করা দুই শতাংশ গবেষকের নাম প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকাতেই এই বছর জায়গা পেয়েছেন সোনারপুরের কোদালিয়ার বাসিন্দা সন্তু দে। আসানসোলের বিধান চন্দ্র কলেজের অধ্যাপক সন্তু তাঁর ম্যাথামেটিকাল ফিজিক্সের উপর বিশেষ গবেষণা পত্রের জন্য এই স্বীকৃতি পেয়েছেন।
দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছেন সন্তু। বরাবরই মেধাবী ছাত্র তিনি। স্কুলে বরাবর প্রথম হয়েছেন। স্কুল পেরিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অঙ্কে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন। IIT-এর ডাক উপেক্ষা করে যাদবপুর থেকেই PHD করেছেন তিনি।সন্তুর সাফল্যে খুশি বাবা, মা, দাদা থেকে শুরু করে ছোটবেলার স্কুলের শিক্ষকও। সকলেরই আশা আন্তর্জাতিকস্তরে আরও সাফল্য পাবেন সন্তু।
সন্তু দে যে স্কুলে পড়তেন তার প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ মাইতি বলেন, "ওর জন্য খুব গর্বিত। এত কম বয়সে গোটা ভারতেই এমন স্বীকৃতিক খুব কম মানুষই পেয়েছেন। সন্তু পড়াশোনায় বরাবরই ভালো ছিল। ও গরিব বাড়ির সন্তান। আমি ওদের বাড়িতেও গিয়েছি। বাবা-মায়ের নিরলস প্রয়াসেই সন্তুর এই সাফল্য। আনেকগুলি IIT-তেই PHD-র জন্য ও সুযোগ পেয়েছিল। কোনওটায় না গিয়ে যাদবপুরকেই বেছে নিয়েছিল। বাংলা ছেড়ে ও যেতে চায়নি। ওর এই স্বীকৃতি আমাদের কাছথে গর্বের।"
আরও পড়ুন- RG Kar: আরজি করের নির্যাতিতাকে শহিদের মর্যাদা, তরুণী চিকিৎসককে বেনজির শ্রদ্ধার্ঘ্য!
আরও পড়ুন- Doctor's Protest: বিচারের দাবিতে ফের কলকাতার রাজপথ দখল, চিকিৎসকদের মিছিলে বহু সাধারণ নাগরিক
দারুণ এই সাফল্য পেয়ে স্বভাবতই খুশি সন্তু নিজেও। তিনি বলেন, "এই স্বীকৃতি পাব ভাবিনি। আগামী দিনে আমার গবেষণাকে আরও অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।"
আরও পড়ুন- POCSO: পকসোতে ফাঁসির সাজা মহিলা তান্ত্রিকের, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড শিশুর দিদার